বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি

Paris
আগস্ট ১১, ২০১৬ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে স্কুল এ্যান্ড কলেজের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

 

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এর হজ্ব উদযাপন উপলক্ষ্যে বিদায় অনুষ্ঠান ও স্কুল এ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনায় গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এনামুল হকের অবসরজনিত বিধিসম্মতভাবে গ্রাজুইটি পাওয়ার আবেদন করে। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন সিয়াম অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হকের আবেদনের পক্ষ নিয়ে আলোচনায় গ্রাজুইটি যা পাবে তা থেকে বেশী করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব রাখে। এতে গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রদর্শক শিক্ষক ফয়েক আলী বলেন বেশী করে দেবে কেন বিধি সম্মতভাবে সাবেক অধ্যক্ষ এনামুল হক ৪ বছর চাকরীকালীন যা পাবেন তাই দেওয়া হোক।

 

এতে সহকারী শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন সিয়াম উত্তেজিত হয়ে ফয়েক আলীর বিরোধিতা করে বলেন, আপনি এতো কথা বলেন কেন? প্রতিউত্তরে ফয়েক আলী বলেন তাহলে সবই টাকা দিয়ে দাও। একপর্যায়ে মেসবাহ উদ্দীন সিয়াম ও স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম বকুল ও আনারুল ইসলাম টিটু মোহরিল জোটবদ্ধ হয়ে ফয়েক আলীকে অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে এবং তিনজন তেড়ে গিয়ে প্রদর্শক শিক্ষক ফয়েক আলীকে চড়, ঘুশি, লাত্থিসহ শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে।

 

ফয়েক আলী এ ঘটনার শিকার হয়ে হতভম্বিত হয়ে পড়ে। পরে স্কুল এ্যান্ড কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানে এসে ঘটনার সার্বিক খোজখবর নেয়।

 

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইজন শিক্ষকের মাঝে ভূল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে স্কুল পরিচালনা কমিটির সকলের উপস্থিতিতে এর সমাধান করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন সিয়াম এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের শারিরিক নির্যাতন করে ছাত্রদের অভিভাবকেরা জানতে পেরে অত্র প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই তাকে মারে এবং অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ছাড়াও তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে সুবিধা নেওয়ার কারণে গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে শোকজ খেয়েছেন। পরে তিনি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি ছাড়তে বাধ্য হন। এ ছাড়াও শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন সিয়ামের আচার ব্যবহারে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ অসন্তুষ্ট।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর