গোদাগাড়ীতে শিশুকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদা:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রতিবেশী নারীর বাড়িতে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের বাড়ির ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম সুমাইয়া মাহী। তার বাবার নাম মিলন খান। বুধবার সকাল থেকে সুমাইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, সকালে মৃত নুরুল ইসলামের ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে খেলছিল সুমাইয়া। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় সুমাইয়ার মা মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে নুরুল ইসলামের বাড়ি যান। এ সময় তিনিই একটি ঘরে বস্তাবন্দী অবস্থায় মেয়ের লাশ দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

ওসি জানান, মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী স্কুলশিক্ষক। সারাদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে শুধু তার ছেলেই ছিল। বিকালে মা বাড়ি এলে সে দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে লাশ কেন সে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। কিশোর ছেলেটিকে কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওসি আরও জানান, বস্তায় সুমাইয়ার গলায় চার্জারের ক্যাবল পেচানো পাওয়া গেছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে সুরতহাল করার সময় ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

স/আর