গোদাগাড়ীতে বড়শিতে ধরা পড়লোর ৯ কেজি বোয়াল

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

বোয়াল মানেই নিঃসন্দেহে পদ্মার। তার পরে আবার বড়শিতে। মজায় আলাদা। করোনাভাইরাসের এমন দিনে শেষ বিকেলে বিনোদনের খোরাক মেটাচ্ছে পদ্মা। পদ্মায় বড়শিতে মাছ শিকারে বেশ ভালোই সময় কাটছে অনেকের।

দিনভর গোদাগাড়ী এলাকার থানার সামনে পদ্মা নদীতে বড়শিতে মিলছে বিভিন্ন ওজনের বোয়াল মাছ। কেউ বা বড়শিতে ৮ থেকে ৯ কেজির ওজনের বোয়াল শিকার করছেন প্রতিদিনই। মাছ শিকার অনেকই দেখতে আসেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যার গোদাগাড়ী উপজেলার হাটপাড়া থানার সামনে পদ্মা নদীতে এই ধরনের কয়েকটি মাছ ধরা পড়ে বলে স্থানয়ীরা জানায়।

জানা গেছে- শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম, মিনহাজ ও এসরাইলসহ অন্য গ্রামের কয়েকজন বড়শিতে মাছগুলো ধরেন।

মনিরুল ইসলাম সিল্কসিটিনিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের দোকানপাট বন্ধ। তাই অবসর বিকেলে কয়েকজন মিলে শখের বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে আসি। পদ্মা নদী ও মহানন্দা নদীর মিলিত স্থানে একটি (অভয়াশ্রম) আছে। সেখানে বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ থাকে।

তিনি আরও জানায়, এখানে পিয়ালী পচা মাছের টোপ দিয়ে বড়শি ফেলে রাখি। এসময় মিনহাজের বড়শিতে ৮ কেজি ওজনের, মনিরুলের বড়শিতে ৯ কেজি ওজনের ও এসরাইলের বড়শিতে ৬ কেজি ওজনের আরেকটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে।

মাছের আড়ৎ মালিক জাহাঙ্গীর সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, এত বড় মাছ গোদাগাড়ীতে মৎস আভয়াশ্রমের করণে প্রতি বছর হয়ে থাকে । এই বোয়াল গুলোরদ দাম ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। বড়শি ছাড়াও কয়েকদিন আগে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের বোয়াল জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, বোয়াল রাক্ষুসে জাতের মাছ। বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ এরা খায়। নদীতে স্রোত কমে গেলে হাওর থেকে উজানের দিকে এসে তারা খাবার খুঁজে বেড়ায়। তবে গোদাগাড়ীতে মৎস আভয়াশ্রম বা মা ইলিশ ধরা নিষদ্ধ থাকার সময় নদীতে সব ধরনের জাল নামা থেকে বিরত থাকার কারণে এই মাছ গুলো বড় হয়েছে।

 

স/আ