মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০১৯ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গোদাগাড়ীতে পদ্মায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ইলিশ শিকার

Paris
অক্টোবর ২২, ২০১৯ ৯:৩১ অপরাহ্ণ

গোদাাগড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে অবাধে ধরা হচ্ছে মা ইলিশ। ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ২২ দিন নদীতে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার হরিমংকর পুর, ভাটোপাড়া, দেওয়ান পাড়া, মাদার পুর, রেল বাজার, হাটপাড়া, সারাংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ মাছ ধরা হচ্ছে।

মাছ শিকারিদের থেকে ঘুষ নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছেন প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। আর তারা এভাবে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইলিশ ধরে নদীর ওপারে চর এলাকায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সুযোগ বুঝে নদীর এপারে নিয়ে এসে বাড়িতে রেখে সেগুলো বিক্রি করা হয়। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন জেলে জানান, ইলিশ মাছ ধরার সময় অভিযানে আসে নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের লোকজন। অভিযানে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ইলিশ মাছ ও নৌকা আটক করলেও অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানে অংশ নেয়া গোদাগাড়ী নৌ পুলিশ ফাড়ীর এএসআই আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে জব্দকৃত কারেন্ট ও ইলিশ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌ পুলিশের এ কর্মকর্তা ইলিশ মাছ ধরার কাছে ব্যবহৃত প্রতি নৌকা থেকে এক হাজার টাকা বখরা তুলছে বলে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত একাধিক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান।

জেলেরা অভিযোগ করে জানান, বখরা না দিলেই ইলিশের নৌকা আটক করে নৌ পুলিশ। রেলবাজার নদীর পাড়ের লোকজন জানান, শনিবার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ইলিশ মাছসহ ৮টি নৌকা আটক করে পুলিশ। প্রতি নৌকায় ৫ হাজার টাকা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে নৌকাগুলো ছেড়ে দেন এএসআই আব্দুল মালেক।

এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আরমান হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে মৎস্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবৈধভাবে ইলিশ মাছ ধরার সঙ্গে জড়িতদের কাছ থেকে বখরা ও ইলিশ মাছ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। গোদাগাড়ী সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম বলেন, মৎস্য বিভাগে জনবল সংকট থাকার কারণে একযোগে সব এলাকায় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর