গোদাগাড়ীতে নির্দেশনা না মানায় তিন দোকান সিলগালা

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমে উঠেছিল বিপণিবিতান গুলোতে ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে গত কয়েকদিন থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তারপরও বন্ধ হচ্ছিল না গোদাগাড়ী উপজেলার সব মার্কেট গুলো।

গত মঙ্গলবার উপজেলার ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেও কোন লাভ হয়নি। তারপরও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে দোকানপাট খোলা রাখায় শুক্রবার সকাল থেকে সারাদিন ব্যাপি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৬ জন ব্যবসায়ীকে মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা এবং তিনটি দোকান সিলগালা করেন উপজেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ।

এতে করে স্বস্তি ফিরেছে সচেতন মহলে। তারা বলছেন, গত কয়েকদিন মার্কেট-দোকানপাট খোলার কারণে এলাকায় করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কেননা তখন মার্কেটে সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঈদের কেনাকাটায় মেতেছিলেন অনেকে। এখন প্রশাসনের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তারা।

জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গত কয়েক দিন ব্যবসা করছিলেন দোকানিরা। দরজা খুলে ভিতরে ক্রেতাকে ঢুকিয়ে আবার দরজা বন্ধ রেখে কেনা বেচা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটা শেষ হলে দরজা খুলে বের করে দেওয়া হচ্ছিল ক্রেতাকে। রাস্তায়ও বের হচ্ছিল অজস্র মানুষ। কোথাও সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন, খাদ্য, ঔষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দোকান কর্মচারী-মালিকদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। গত কয়েকদিন ধরে সতর্ক করে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে উপজেলা সদরের মার্কেট ও কাঁকন হাট বাজারে শাটার অর্ধেক খোলা রেখে গোপনে বেচা বিক্রি করায় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে ১৬ জন দোকান মালিককে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনটি দোকান সিলগালা করা হয়। করোনার সংক্রমণ হতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।