গোদাগাড়ীতে কোম্পানীর জন্য জমি দখল নিতে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মো. মখলেশ নামের এক কৃষকের জমি দখলে নিতে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও দফায় দফায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে।  শনিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক।

তিনি উপজেলার পিরিজপুর এলাকার মৃত নিয়ামতুল্লাহর ছেলে।লিখিত বক্তব্যে মো. মখলেশ জানান, ২০১৩ সালে উপজেলার চাঁদগোবিন্দপুর এলাকায় একই উপজেলার কুমারপাড়া এলাকার কামেজের ছেলে মো. সানাউল্লাহর ১১ বিঘা দাগের জমির মধ্যে ২ বিঘা ১৮ শতক জমি ক্রয় করেন। তবে সেখানে ২০১৭ সালে ৭ বিঘা জমি  কোম্পানি কিনে নেয়।

এরপরই তার ক্রয়কৃত জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয় এবং কাটা তারের বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক জমিটি দখল করে নেয়। তিনি জানান, এর প্রতিবাদ করায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তার বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। তৎকালীন গোদাগাড়ী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. লতিব তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে আসেন এবং থানায় আটকে নির্যাতন করেন।

এছাড়া তার স্ত্রীকেও আজেবাজে কথা বলেন।সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান আবারো হুমকি-ধামকি প্রদর্শনপূর্বক স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগীতায় তার ওপর হামলা চালান। ফলে গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগও দেন। বর্তমানে তিনি ও তার স্ত্রী চরম হুমকির মুখে রয়েছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক জমি ফিরে পেতে ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে  কোম্পানির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেখানে তার কোনো জমিই নেই। এনিয়ে জমির পূর্বের মালিকের সঙ্গেও মখলেশের ঝামেলা চলছে।

কোম্পানির ক্রয়কৃত জমির ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসিপত্র নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ বাদি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এবিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/আ.মি