গোদাগাড়ীতে এ্যাসিড ঝলসে দেওয়া হলো ছাত্রীর মুখ

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

গোদাগাড়ীতে বখাটের ছোড়া এ্যাসিডে ঝলসে গেল মাদরাসা ছাত্রীর মুখ। ওই মাদরাসাছাত্রীর নাম মোসা. সুমা খাতুনকে (১৫)। তার পুরো মুখ ও হাত ঝলসে গেছে। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের বড় বাউটিয়া নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সুমা ওই গ্রামের সেলিম রেজার মেয়ে। সে বাউটিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার খেয়ে চাচীর সাথে টেলিভিশন দেখছিলেন সুমা। সে সময় বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়া বখাটেরা জানালা দিয়ে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

সুমার বরাতে বাবা সালাহ উদ্দিন খান বলেন, সুমা বখাটেদের চিনতে পারেনি। বখাটে এ্যাসিড ছুড়ে পালিয়েছে। সুমার মুখ ঝলসে গেলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আমরা (স্বজনরা) তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তবে গত কয়েকদিন থেকে একটি অপরিচিত ফোন নাম্বার থেকে বিরক্ত করছিল বলে দাবি করেন সুমার বাবা সালাহ উদ্দিন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটির চোখের নিচ থেকে মুখের অংশ ঝলসে গেছে। তা ছাড়া তার বাঁ হাতটিও পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এবিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

স/আ