বুধবার , ১৭ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গুলশান হত্যাযজ্ঞে আরো আট জঙ্গি সন্দেহে

Paris
আগস্ট ১৭, ২০১৬ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আরো আটজন সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পলাতক তিন জঙ্গি নেতা তামিম, মেজর জিয়া ও মারজানের বাইরে এই জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা এরই মধ্যে শনাক্ত হয়েছে বলে দাবি তদন্তসংশ্লিষ্টদের।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব বিষয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। মামলার তদন্ত ও সাম্প্রতিক জঙ্গি তত্পরতার বিষয়েও তিনি বেশ কিছু তথ্য জানান।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম মারজান। দুজনই নব্য জেএমবির অন্যতম অপারেশনাল কমান্ডার। বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউল হক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করছে। এ তিন ‘মাস্টার মাইন্ডকে’ এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

তারা ঢাকায় থাকতে পারে, এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চলছে। এই তিন জঙ্গিকে যতক্ষণ পর্যন্ত ধরা না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে তেমন সফলতা আসবে না। এদের মাধ্যমেই জঙ্গিদের সদস্য বাড়ছে। এই তিন জঙ্গি নেতা সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃতরা যেসব তথ্য দিচ্ছে সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।

গুলশান হামলার ঘটনায় তামিম, মারজান ছাড়াও আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখার তথ্যও পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজনদের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে এবং তারা সবাই দেশের ভেতরেই আছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সন্দেহভাজন এসব জঙ্গির ছবি ও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মারজানের বাবাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেনি জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, মারজানকে আটক করতে তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি তার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গোয়েন্দা পুলিশের তরফ থেকে মারজানের ছবি প্রকাশ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। বিস্তারিত পরিচয় জানা গেছে। তবে মারজানের অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রাম এলাকায় দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপে মানুষ তথ্য দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি নেতা তামিম ও জিয়া ঢাকাতেই অবস্থান করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। বিশেষ করে কল্যাণপুরের ঘটনার সময় মারজান ও তামিম ঢাকাতেই ছিল বলে জোরালো তথ্য মেলে। এখনো তারা ঢাকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে মোতাবেক অভিযানও চলছে। তবে তাদের আমরা এখনো গ্রেপ্তার করতে পারিনি। অন্য কেউ তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করেছে বলেও আমাদের জানা নেই। আশা করা হচ্ছে, সবার সহযোগিতায় এরা ধরা পড়বে।’

গুলশান হামলার ঘটনায় শুধু হাসনাত রেজা করিম নামের এক আসামি গ্রেপ্তার আছে জানিয়ে মনিরুল বলেন, তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসনাতের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার পূর্ব ইতিহাস, গুলশানে হামলার সময় উপস্থিতি এবং পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া কিছু ছবির সূত্রে তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মূলত জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক সন্দেহভাজন তাহমিদ হাসিব খানের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হলি আর্টিজানের ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ ঘটনায় জড়িতদের ব্যাপারে অনেক তথ্যই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেএমবি আগের মতো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নয়। তবে  জেএমবি  ভেঙে নব্য জেএমবি গঠিত হয়েছে। তারাই সামপ্রতিক হামলাগুলোর সঙ্গে জড়িত। আর আমাদের কাছে খবর আছে, আগের মতো কোনো শক্তিশালী মহল থেকে তারা পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে না।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়