গাজায় নারীযাত্রীদের ট্যাক্সি সেবা দেন নায়লা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

পাঁচ সন্তানের জননী ফিলিস্তিনি নারী নায়লা আবু জুব্বাহ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার প্রথম নারী ট্যাক্সি চালক হিসেবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের পুরুষদের পাশপাশি নারীদেরও সব ধরনের গাড়ী চালানোর অধিকার আছে। তবে ট্যাক্সি চালক হিসবে এখন পর্যন্ত নারীরা এ ধরনের পেশায় জড়ায়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপি-কে নায়লা বলেন, ‘একদিন নরসুন্দর বান্ধবীর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে আমি বললাম, আচ্ছা বলোতো, নারীদের জন্য আমি ট্যাক্সি চালাতে শুরু করলে কেমন হয়? তখন সে বলল, এটা তো দুর্দান্ত ভাবনা।’

ইসরায়েলের দখল করা অঞ্চলে বৈশ্বিক মহামারির কারণে প্রায় অর্ধেক কর্মজীবীরা বেকারত্বের শিকার। যুদ্ধ ও ক্ষুধার শিকার ফিলিস্তিনের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী দরিদ্রপীড়িত হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

সকালের আহার পর্ব সেরে মুখে মাস্ক পরে গাড়ি নিয়ে বের হন তিনি। নিজের স্মার্চ ফোনটি যথাস্থানে রেখে গাজা উপত্যাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করেন। রাস্তায় তিনি সাধারণত ভাড়া নেন না। বরং আগের বুকিং করা যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করেন।

নায়ল বলেন, ‘আমি ঘর ত্যাগ করে যাত্রীকে পৌঁছে দিতে যাই। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাই।’

বাবা মারা যাওয়ার পর নিজের উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে গাড়িটি ক্রয় করেন তিনি। নায়লা বলেন, ‘একদিন মনে মনে বললাম, কাজে বাড়তি সুবিধার জন্য একটি কার নেওয়া জরুরি। এরপর নারী যাত্রীদের জন্য ট্যাক্সি চালানো পরিকল্পনা মাথায় আসে।’

আয়া সালিম নামের ২৭ বছর বয়সী একজন নারী যাত্রীকে নিয়ে যান নায়লা। সালিম বলেন, আমরা একটি কট্টর সমাজে বসবাস করি। এমন সমাজে নারীদের পরিচালিত ট্যাক্সি দেখলে নিজেদের কিছুটা স্বাধীন মনে হয়। আমি যখন একজন নারীর সঙ্গে অবস্থান করি তখন নিজের মধ্যে বেশ স্বস্তি অনুভূত হয়। আমরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারি।’

গাড়ি চালনায় নারীদের এগিয়ে নিতে চান নায়লা। নায়লা বলেন, ‘কয়েকজন নারী আমার সঙ্গে ট্যাক্সি চালনা পেশায় কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তাদের পরবর্তীতে আলাপের আশ্বাস দেই। আমার মনে হয়, এই প্রজেক্ট সবার মধ্যে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

 

সূত্র কালেরকন্ঠ