সোমবার , ১৭ জুন ২০২৪ | ১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত’ বিরতির নিন্দা নেতানিয়াহুর

Paris
জুন ১৭, ২০২৪ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক: 

গাজায় ত্রাণের সরবরাহ স্বাভাবিক করতে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে যে কৌশলগত বিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), তার কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রোববার সকালে যখন প্রধানমন্ত্রী শুনলেন যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ এবং ইতোমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে, তিনি তার সামরিক সচিবকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে এই পদক্ষেপ তার খুবই অপছন্দ হয়েছে এবং এটি তার কাছে অগ্রহণযোগ্য।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ইউনিট কো অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিজ (কোগাট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রীর সরবরাহ স্বাভাবিক করতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বিরতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ।

সে সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা সামরিক তৎপরতা বন্ধ থাকবে। এই সময়সীমায় কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে পারবে। তারপর সেই ত্রাণ সামগ্রী সালাহ আল দীন সড়ক দিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো হবে।

আইডিএফের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতামার বেন গিভিরও। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে— তারা নির্বোধ এবং তাদের চাকরিচ্যুত করা উচিত।

তবে জাতিসংঘ এই কৌশলগত বিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী, যা এখনও চলছে। জুনমাসে সেই অভিযান অষ্টমম মাসে গড়ালো।

এই আটমাসের অভিযানে একদিকে যেমন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা— তেমনি অভিযানকে ঘিরে ইসরায়েলে সরকার-প্রতিরক্ষা বাহিনী ও জনগণেরর মধ্যে বিভক্তি ও দ্বন্দ্বও প্রকট হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অভিযানের শুরু থেকেই বলে আসছেন যে হামাসকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ থামবে না। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধীরা একমত হলেও তাদের অভিযোগ— ৭ অক্টোবর হামলায় যে ২৪২ জন জিম্মিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস, তাদের মুক্তির জন্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না নেতানিয়াহু।

তাছাড়া অতি রক্ষণশীল (আলট্রা-অর্থোডক্স) ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে। নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টিসহ কয়েকটি দল অতি রক্ষণশীল ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে থাকলেও বেশ কয়েকটি দল এর বিরোধী।

এসব দ্বন্দ্বের জেরে সম্প্রতি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল বেনি গান্টজ। জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের সঙ্গেও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে নেতানিয়াহুর।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করেছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। তার জবাবে গত আট মাস ধরে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েচেন ৩৭ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক