সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাস্তার পাশে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল গরুটি। ‘জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা যখন ভারতের আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন, চিকিৎসক কার্তিক শাস্ত্রী প্রথমে ভেবেছিলেন গরুটি সন্তানসম্ভবা। বোধহয় শারীরিক দুর্বলতার জন্য হাঁটাচলা করতে পারছে না।
গরুটির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি অস্ত্রোপচার করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই হতবাক পশু চিকিৎসক। প্রায় ১০০ কেজি প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ছিল গরুটির পেটে, যা একে একে বার করেছেন তিনি। শুধু প্লাস্টিক নয়; স্ক্রিউ, পেরেক, বিদ্যুতের তার সবই ছিল এই আবর্জনার মধ্যে।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরে প্রকাশ, রাস্তায় পড়ে থাকা গরুর পেট থেকে আবর্জনা বের হওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও ২৫ থেকে ৪০ কেজি মতো আবর্জনা পাওয়া গেছে। তবে এত বেশি পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ কোনও প্রাণীর দেহ থেকে পাওয়া একটা বড় ব্যাপার বলে জানিয়েছেন কার্তিক শাস্ত্রী। এর জন্য তিনি মানুষের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন।
তার ভাষ্য, অনেকদিন আগেই চার মাইক্রনের বেশি প্লাস্টিকের ব্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তবে গরুটির পেট থেকে যে প্লাস্টিক মিলেছে, তার ৯৮ শতাংশই এই নিষেধাজ্ঞার মাত্রার বেশি।