গরম ভাতের সঙ্গে হোক তিন পদের ভর্তা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

গরম ভাতের সঙ্গে দুপুরে বা রাতে ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে। সেগুলো যদি হয় হাতে মাখানো চিংড়ি ভর্তা, ডাটাশাক ইলিশের ভর্তা এবং নারিকেল চিংড়ির ভর্তা। তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আসুন জেনে নিই অসাধারণ তিনটি ভর্তার রেসিপি সম্পর্কে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রুবাইদা রাখী—

১. হাতে মাখানো চিংড়ি ভর্তা

উপকরণ
চিংড়ি এক মুঠো
শুকনা মরিচ ২-৩টি
কাঁচামরিচ ১টি
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
ধনিয়াপাতা এক মুঠো
সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমতো
লেবু এক ফালি

প্রস্তুতপ্রণালি
চিংড়িগুলো ভালো করে বেছে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটু গুঁড়া লাল মরিচ ও লবণে মাখিয়ে কড়াইতে অল্প তেলে কিছুক্ষণ ভেজে নেবেন।চাইলে একটু ক্রিস্পি ভাজাও করা যায়। একটু নরম করে ভাজলেও মজাদার হয়। যে যেভাবে পছন্দ করেন, সেভাবে ভেজে একটু ঠান্ডা হলে একটি বড় থালায় পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, ধনিয়াপাতা ভালো করে চটকে নিয়ে চিংড়িগুলো সব উপকরণের সাথে মেখে সরিষার তেল দিয়ে হাতে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। চাইলে চিংড়িগুলো একটু ভেঙে নিতে পারেন অথবা আস্ত রেখেও মাখাতে পারেন। ভালো করে মাখানো হলে এক ফালি লেবুর রস ভর্তায় চিপে মেখে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। ঝাল কমবেশি করতে মরিচের পরিমাণ কমবেশি করতে পারেন।

২. ডাটাশাক ইলিশের ভর্তা

উপকরণ
ফ্রেশ ডাটাশাক এক আঁটি
পেঁয়াজ কুচি এক মুঠো
কাঁচামরিচ ৭-৮টি
রসুন দুই কোয়া
ইলিশ মাছের টুকরা ২টি
সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
লবণ পরিমাণমতো

প্রস্তুতপ্রণালি
ডাটাশাক বেছে খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এরপর শাকে একটু লবণ, দুই কোয়া রসুন আর কাঁচামরিচগুলো দিয়ে একটি পাত্রে অল্প পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ খুব বেশিক্ষণ করা যাবে না। শাকটা সেদ্ধ হলেই পানি টানিয়ে ঝরঝরে করে নিতে হবে। ইলিশ মাছের লেজ এবং তার আগের পিসের টুকরাগুলো সামান্য লবণ আর হলুদ মেখে ভালো করে ভেজে কাঁটা বেছে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, কাঁচামরিচগুলো সেদ্ধ শাক থেকে বেছে সেগুলো নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে মাছগুলো তার মধ্যে মাখাতে হবে। এরপর সেদ্ধ করা শাক তার মধ্যে নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে সরিষার তেল দিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে হবে। কাঁচামরিচ দিয়ে ঝাল কমবেশি করতে পারবেন।

৩. নারিকেল চিংড়ির ভর্তা

উপকরণ
কোড়ানো নারিকেল এক কাপ
চিংড়ি এক মুঠো
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচামরিচ ৫-৬টি
শুকনা মরিচ দুটো
লবণ স্বাদমতো
সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুতপ্রণালি
এটি খেতে ভীষণ মজাদার। চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে একটি। নামটি জেনেছিলাম খালাশাশুড়ি মিতা আন্টির কাছ থেকে। রেসিপি আমার করা। প্রথমেই কড়াইতে তেল নিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, শুকনা মরিচ একটু ভেজে তার মধ্যে লবণ মরিচে ভেজে রাখা চিংড়ি দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে কোড়ানো নারিকেল দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে ভর্তাটা বাটার জন্য। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। সব উপকরণ ভালো করে ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে ভালো ভাবে শিল পাটায় বেটে সরিষার তেল যোগে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ