গ্রীষ্মকালের টানা তাপপ্রবাহের জেরে গরমে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে অস্ট্রেলিয়া। তাপপ্রবাহ ও অতি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দাবানল দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি দাবানলের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসে। দেশটির সবচেয়ে জনবহুল এই প্রদেশটির ফায়ার সার্ভিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, শনিবার বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৫০টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ছোটো এবং মাঝারি আকৃতির হওয়ায় লোকালয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি দাবানলগুলো। দাবানল নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৭ শতাধিক কর্মী ব্যাপক পরিশ্রম করছেন বলে এক্সবার্তায় জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ছে, পশ্চিম ও উত্তর অস্ট্রেলিয়াতেও টানা তাপপ্রবাহের জেরে দাবানলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় তাপপ্রবাহ থাকলেও আপাতত দাবনলের আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ফিটজরয় শহরে— ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ায় যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে এটি ৬ ডিগ্রি বেশি।
প্রসঙ্গত, উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে যে সময় থেকে শীতকাল শুরু হয়, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সে সময় গ্রীষ্মকালে প্রবেশ করে। গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল প্রায় নিয়মিত একটিড দুর্যোগ। ২০১৯-২০ সালের গ্রীষ্মে দাবানলে অস্ট্রেলিয়ায় তুরস্কের মোট আয়তনের সমপরিমাণ এলাকা আগুনে ভস্মিভূত হয়েছিল, নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৩৩ জন।
তুরস্কের আয়তন ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ বর্গকিলোমিটার।