সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজ্যের তিন জেলায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তিনজনের৷ প্রথমটি বাঁকুড়ার ঘটনা৷ মৃতের নাম আনি বাউরি (৪৫)৷ তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা৷ রবিবার সকালে সবজি বিক্রির জন্য বাড়ি থেকে বের হন৷ ওন্দা থানার কালিসেন বাজারে বাসস্ট্যান্ডে বসেছিলেন তিনি৷
সেইসময় বাঁকুড়াগামী একটি পিক আপ ভ্যানের পিছনে একটি বালি বোঝাই লরি ধাক্কা মারে৷ এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপ ভ্যানটি রাস্তার পাশে বসে থাকা ওই সবজি বিক্রেতাকে ধাক্কা মারে৷ আনি বাউরী মাথায় গুরুতর আঘাত পান৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ওন্দা থানার পুলিশ৷
পুলিশ ও স্থানীয়দের উদ্যোগে গুরুতর আহত ওই মহিলাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ পুলিশ ঘাতক গাড়িগুলিকে আটক করতে পারলেও চালক-খালাসি পলাতক৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷
আনি বাউরির ছেলের বউ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি শাশুড়ি মায়ের সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে৷ কোনওভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু প্রাণে বাঁচানো গেল না৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছুক্ষণ কালিসেন-ধলডাঙা মোড়ের রাস্তা অবরোধ করেন৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যদিকে ক্যানিং থানা এলাকায় সাতসকালে রাস্তার পাশে এক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার বাহিরসোনা মোড়ের বিশ্বাস পাড়ার কাছে মৃতদেহটি পড়েছিল৷ মৃতের বয়স অনুমান পঞ্চাশের কাছাকাছি৷ ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে৷ স্থানীয়দের অনুমান, সম্ভবত ওই ব্যাক্তিকে অন্য কোথাও খুন করে এখানে এনে ফেলে রাখা হতে পারে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ৷
পাশাপাশি মালদহ টাউন স্টেশনে অসুস্থ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মালদহ জিআরপি৷ মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ওয়াগমারে কে পি৷ তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মী৷ গরমে মালদহ টাউন স্টেশন এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যান্য যাত্রীরা তাকে দেখতে পেয়ে খবর দেয় মালদহ জিআরপিতে৷ এরপর জিআরপি তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।