গণপরিবহন চালু করছে ভারত

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া গণপরিবহন চালু করতে যাচ্ছে ভারত। গণপরিবহন কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতীন গডকরি।

বুধবার দেশটির বাস অ্যান্ড কার অপারেটরস ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি। শিগগিরই নতুন কিছু বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে রাস্তায় গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হবে বলে ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বাস দেন গডকরি।

যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান তিনি। ভারতীয় এই মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও গাড়িতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার রাখা ও অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তবে কবে নাগাদ রাস্তায় যান চলাচল শুরু হবে সেব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি। দেশটিতে দুই দফায় বাড়ানো লকডাউন আগামী ১৭ মে শেষ হবে।

দেশটির সরকার কম সংক্রমিত এবং যেসব এলাকায় এখনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি; সেসব এলাকায় ইতোমধ্যে লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করে নতুন কিছু স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করেছে। সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ায় দেশটির বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু শিল্প-প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও দোকানপাট চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে।

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কিছু দোকানপাট এবং বেসরকারি অফিস ৩৩ শতাংশ কর্মচারীর উপস্থিতিতে চালু করার অনুমতি দিয়েছেন। গণপরিবহন জোড়-বিজোড় পদ্ধতি চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।

কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন এই সময়ে দেশের অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড় করানো যায়, সেটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছেন বলে জানান নিতীন গডকরি।

ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪৩৬ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৬৯৫ জনের। তবে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ এবং মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।