‘গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য’

দেশের চলমান উন্নয়নকে টেকসই করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে সমগ্র বিশ্ব একীভূত। তাই সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডিআরইউর সাবেক নেতা শাহজাহান সরদার, মাহফুজুর রহমান, শফিকুর রহমান সাবু, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, শুক্কুর আলী শুভ, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনসহ সাংবাদিকদের অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল সুবিধার কারণে কভিডকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া সম্ভব হয়েছে। যা করোনাসংকট উত্তরণে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউ গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার, পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সাংবাদিকতার বিকাশ, সাংবাদিকদের কল্যাণ, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পেশাদারির মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে আসছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ডিআরইউর সার্বিক সফলতা কামনা করেন তিনি।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ