‘খেদমত ও বেত্রাঘাত বন্ধ করা গেলে মাদ্রাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ সম্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিক্ষার্থীদের দিয়ে দৈহিক খেদমত ও বেত ব্যবহার বন্ধ করা গেলে মাদ্রাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীতে অবস্থিত বিভিন্ন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। এ সময় মাদ্রাসার প্রতিনিধিরা জানান, শত্রুতা করে মাদ্রাসায় অযাচিত ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত চন্দ্রিমা থানার আয়োজনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। থানার এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানান উপস্থিত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

আলোচনা সভায় রাজশাহীর প্রতিটি মাদ্রাসায় সরকারি নির্দেশনা মেনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং নামানোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় উপস্থিত সকল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগরীর ১৮, ১৯ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় একশটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাতি এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, মাদ্রাসার আগামীর পথচলা ভালো করতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। মাদ্রাসাগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একজনের জন্য যেন পুরো আলেম সমাজকে বদনামের ভাগিদার না হতে হয়। আপনাদের (আলেমদের) জ্ঞানের আলোকে সমাজ পরিচালিত হয়। অতএব আপনাদের দায় ও দায়িত্ব বেশি।

এ সময় তিনি নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই মাদ্রাসাগুলোকে সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজশাহী মহানগরীর মধ্যে চন্দ্রিমা থানা এলাকায় মাদ্রাসার সংখ্যা বেশি। ভর্তি নেয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের বিষয়ে আগে থেকে খবর নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের না মেরে মোটিভেশন ও কাউন্সিলিং করতে হবে। আদব শিক্ষা দেয়ার জন্য লাঠি হাতে নেয়া যাবে না। মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সমাজের অবহেলিত পরিবারের সন্তানেরা মাদ্রাসায় পড়তে আসছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে সকলকে বিরত থাকতে ওসি আহ্বান জানান।

জি/আর