খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবীতে মহানগর ও জেলা বিএনপি’র স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার প্রদানের দাবীতে রাজশাহী প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আয়োজনে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল স্মারকলিপি গ্রহন করেন এবং দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিবেন বলে নেতৃবৃন্দদের আশস্ত করেন।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজশাহীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০১৮ সালে একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যেমে দেশইেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। কারাবন্দী করার সময় তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল ছিলো। তিনি সুস্থ্য ছিলেণ। যা দেশবাসী জানেন। কিন্তু দীর্ঘসময় কারাবাসের ফলে তিনি অসুস্থ থাকনে। কারাগারে নানাবিধ জঠিল রোগে ভূগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করনে নি। এমনকি নুন্নতম চিকিৎসাটুকুও তাঁকে দেয়া হয়নি। এখন তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে । এ অবস্থাতে দল, দেশবাসী এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার করার জণ্য আবেদন করলেও এই সরকার র্কণপাত করছেন না।

তারা আরো উল্লেখ করেন ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে নিজ বাস ভবনে থাকতে দেয়া হলে সরকার থেকে একে শর্তসাপেক্ষে মুক্ত বলে অভিহিত করে। নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও মূলত তিনি বন্দী অবস্থায় আছেন। সে সময়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও পোস্ট-কোভিড জটিলতা এবং অন্যান্য রোগে তাঁর জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এ অবস্থায় বেগ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার লক্ষে বিদেশে চিকিৎিসার দাবী শুধু বিএনপি-ই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইন বিশেষজ্ঞগণ। সেইসাথে দেশের আপামর জনসাধারণ তাঁর মুক্তি ও চিকিৎসার দাবী জানালেও এই সরকার বেগম জিয়াকে নিয়ে গভীর হীন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। জনগণ ও বিভিন্ন দল মনে করছে আওয়ামী লীগ তাদের সিমাহীন দূর্নীতি, ব্যর্থতা এবং অন্যায় অত্যাচার আড়াল করতে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতেই বেগম জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে। বেগম জিয়ার এই অবস্থা বিবেচনা করে বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জোর দাবী জানান তারা।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্ঠা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, পুঠিয়া-দূর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র যুুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, রাজপাড়া থানা বিএনপি’রর সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাফিক।

রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ওয়াজির উজির, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি বজলুর রহমান কচি, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম তারিফ, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আাজাদ সুইট, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জনি ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা পপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসমাউল হুসনা ফেরদৌসী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেলী ও ক্রীড়া সম্পাদক ডেইজি উপস্থিত র্ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, রাবি ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহী, যুগ্ম আহবায়ক সরদার জহুরুলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী জেলা বিএনপি:

বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার প্রদানের দাবীতে রাজশাহী প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আয়োজনে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল স্মারকলিপি গ্রহন করেন এবং দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিবেন বলে নেতৃবৃন্দদের আশস্ত করেন।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজশাহীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০১৮ সালে একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যেমে দেশইেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। কারাবন্দী করার সময় তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল ছিলো। তিনি সুস্থ্য ছিলেণ। যা দেশবাসী জানেন। কিন্তু দীর্ঘসময় কারাবাসের ফলে তিনি অসুস্থ থাকনে। কারাগারে নানাবিধ জঠিল রোগে ভূগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করনে নি। এমনকি নুন্নতম চিকিৎসাটুকুও তাঁকে দেয়া হয়নি। এখন তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে । এ অবস্থাতে দল, দেশবাসী এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার করার জণ্য আবেদন করলেও এই সরকার র্কণপাত করছেন না।

তারা আরো উল্লেখ করেন ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে নিজ বাস ভবনে থাকতে দেয়া হলে সরকার থেকে একে শর্তসাপেক্ষে মুক্ত বলে অভিহিত করে। নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও মূলত তিনি বন্দী অবস্থায় আছেন। সে সময়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও পোস্ট-কোভিড জটিলতা এবং অন্যান্য রোগে তাঁর জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এ অবস্থায় বেগ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার লক্ষে বিদেশে চিকিৎিসার দাবী শুধু বিএনপি-ই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইন বিশেষজ্ঞগণ। সেইসাথে দেশের আপামর জনসাধারণ তাঁর মুক্তি ও চিকিৎসার দাবী জানালেও এই সরকার বেগম জিয়াকে নিয়ে গভীর হীন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। জনগণ ও বিভিন্ন দল মনে করছে আওয়ামী লীগ তাদের সিমাহীন দূর্নীতি, ব্যর্থতা এবং অন্যায় অত্যাচার আড়াল করতে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতেই বেগম জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে। বেগম জিয়ার এই অবস্থা বিবেচনা করে বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জোর দাবী জানান তারা।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, সদস্য সাবেক এমপি জাহান পান্না, সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, আব্দুর রশিদ, রায়হানুল আলম রায়হান ও গোলাম মোস্তফা মামুন, সামসুল রহমান মিন্টু, রফিকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম রফিক, তোফায়েল হোসেন রাজু, আমিনুল হক মিন্টু, শাহাদাত হোসেন, আলী হোসেন, কামরুজ্জামান হেনা, আব্দুল ওহাব, জাকিরুল ইসলাম বিকুল।

জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আলামিন সরকার টিটু, সদস্য সচিব নাজমুল হক, যুগ্ম আহবায়ক এ.এইচ.এম মুহিব্বুল হক রুবেল, এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান সজন, সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন, দপ্তর সম্পাদক রোমেনা হোসেন, এবং মহিলা দল রাজশাহী বিভাগীয় টিমের সদস্য গুলশার আরা মমতা, নারী নেত্রী বেদেনা বেগম, এ্যাডভোকেট শিফাত জেরিন তুলি, খাদিজা বেগম ও ফাতেমা।

এছাড়াও জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ আরফিন কনক, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়সাল সরকার ডিকোসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক, আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিবগণসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।