খালেদার বিরুদ্ধে আরো চার মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে

রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা চার মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা তিনটি আবেদন নিষ্পত্তি এবং একটি আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ‌আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এনিয়ে গত দুইমাসে মোট ১২টি মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ। এর আগে আপিল বিভাগ ১৭ আগস্ট এবং ২৩ আগস্ট পৃথক আদেশে নাশকতার অভিযোগে দারুস সালাম থানায় করা পাঁচটি ও যাত্রাবাড়ী থানার তিনটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মামলা
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদি ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) মামলা করেন। এরপর আদালত খালেদা জিয়াকে হাজির হতে ওইবছরের ৩ মার্চ সমন জারি করে। খালেদা জিয়া ওই বছরের ১০ এপ্রিল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।

একই আদালত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মামলায় অভিযোগ আমলে নেন। খালেদা জিয়া দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আবারো জামিন নেন। এরপর অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

নাশকতার অভিযোগের তিন মামলা
নাশকতাসহ সহিংসতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৪, ১০ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দারুসসালাম থানায় করা তিন মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট একই বছরের ৯ এপ্রিল দুটি ও ৭ মে একটি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ