খালি পেটে অ্যালোভেরার শরবত খাওয়ার ৪টি উপকারি দিক

আপনি সকালে কী খাচ্ছেন বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারারাত পেট খালি থাকে। এজন্য সকালের শুরুতেই এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে।  সেক্ষেত্রে আপনি সকালে উঠে প্রথমে অ্যালোভেরার শরবত খেতে পারেন। অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই।

অ্যালোভেরায় ভিটামিন, মিনারেল  ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যালোভেরা শুধুমাত্র ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে না, খালি পেটে খেলে হজম ঠিক রাখে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

হজম উন্নত করে:

আপনি যদি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তাহলে অ্যালোভেরার শরবত হতে পারে আপনার জন্য উপাদেয়। অ্যালোভেরাতে এনজাইম রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে।

হাইড্রেশন:

অ্যালোভেরায় যথেষ্ঠ পরিমাণ পানি রয়েছে। সকালে খালি পেটে খেলেই শরীর হাইড্রেট হয় সেইসঙ্গে টক্সিনগুলো বের হয়ে যায়। এছাড়া আপনার শরীর পরিষ্কারকরণের কাজ করে অ্যালোভেরা।  শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখতে অ্যালোভেরার শরবত জরুরী ভূমিকা পালন করে।

পুষ্টি সমৃদ্ধ:

ভিটামিন এবং খনিজ সুস্থ থাকতে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয়। অ্যালোভেরা হলো দুটিরই পাওয়ার হাউস। এটিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি, এ এবং ই রয়েছে সেই সাথে ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত সামান্য। নিয়মিত  খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে আপনার পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

ত্বকের যত্নে:

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের জন্য জরুরী। অ্যালোভেরাতে থাকা ভিটামিন আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলো ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলোর বিপরীতে লড়াই করবে। এতে করে ত্বক ও চুল দুটোই সতেজ ও ঝলমলে থাকবে।

খাওয়ার নিয়ম:

অ্যালোভেরার জেল সাধারণ শরবত করে খাওয়া হয়। আপনি বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে পারেন  আবার বাজারেও অ্যালোভেরার জুস কিনতে পাওয়া যায়।

প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ জেল খাওয়াই যথেষ্ঠ।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ