খাদ্য সঙ্কটে ভাগাড়ে ফেলা কলা কুড়িয়ে খাচ্ছেন শ্রমিকেরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মহামারি করোনা ভাইরাসে রুটি রুজি হারিয়ে পথে বসেছেন শ্রমিকরা। এমন অনেক শ্রমিক আছেন যারা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় কাজের সন্ধানে যান। তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এমন অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

তাদের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়,  ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া কলা কুড়িয়ে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের অভিবাসী শ্রমিকেরা। বুধবার( ১৫ এপ্রিল)  বিকেলে দিল্লির যমুনা নদীর তীরে এক ভাগাড়ে এভাবে কলা দেখা গেছে।  ভাগাড়ে ফেলা দেয়া কলার মধ্য থেকে তারা ন্যূনতম খাওয়ার যোগ্যটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনের কারণে রোজগার হারিয়েছেন হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক। পরিবহন বন্ধ থাকায় ফিরতে পারেননি বাড়িতেও। ভারত সরকার এসব শ্রমিককে বিনামূল্যে খাবার ও আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বেশিরভাগই তা পাননি।গত মঙ্গলবার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরই বিভিন্ন রাজ্যের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে এসব শ্রমিকেরা।

সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যমুনা নদীর নিগামবধ ঘাটের কাছে একটি ভাগাড়ে কলা ফেলে দেয়া হয়। ভারতের রাজধানী শহরের অন্যতম মূল ভাগাড় এটি। ধারণা করা হচ্ছে কোনও মৃত মানুষের শেষকৃত্য শেষে এগুলো ফেলে দেয়া হয়।

সেখানে কলা কুড়াতে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, এগুলো কলা… সহজে নষ্ট হয় না। একটু ভালো করে নিতে পারলে আমরা আরও কয়েক দিন টিকে থাকতে পারব। উত্তর প্রদেশের আলীগড় থেকে আসা এক অভিবাসী শ্রমিক বলেন, ‘নিয়মিত খেতে পাই না, সেকারণে এগুলো নেয়াই ভালো।

আগে সচরাচর চোখে না পড়লেও এখন নিয়মিতই দিল্লির রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে অনেককেই ঘুমাতে দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে আরোপিত লকডাউনে যমুনা নদীর তীরে অনেক অভিবাসী শ্রমিকই আটকা পড়েছে। অন্য অনেকের মতো এসব শ্রমিকেরাও রাতারাতি কাজ হারিয়েছেন, খাবার আর আশ্রয়ের ব্যবস্থাও নেই তাদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়িও ফিরতে পারছেন না তারা।

এনডিটিভির খবর প্রকাশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এসব শ্রমিকের জন্য খাবার আর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ সময়