খরার উপরে কালবৈশাখীর হানায় আমের ফলন নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


দীর্ঘদিন বৃষ্টির দেখা নেই। তার উপরে কালবৈশাখীর হানায় ঝরেছে আমের গুটি। কৃষক ব্যবসায়ীদের দাবি ২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন তারা।

গত রোবাবার (৪এপ্রিল) রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী হানা দেয়। ঝড়ের গতি ছিলো ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার । এসময় শিলা বৃষ্টি হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। তবে নগরীতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। এই ঝড়ে আম ও লিচুর গুটি ঝরেছে বলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক এসএম রেজওয়ানুল হক বলছেন, রোববার মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় ছিলো। এসময় ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে পুঠিয়া ও বাঘায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে।



রাজশাহী কৃষি বিভাগ বলছে- এবছর জেলার ১৮ হাজার হেক্টর জমির বাগানে সোয়া দুই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা। তারা বছলেন- মুকুলের পরে গাছে প্রচুর আম ধরে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে এমনিতেই ঝরে যায়। এখনও যে আম আছে তা গাছে থাকলে ভেঙ্গে পড়বে।

চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন- দীর্ঘ খরার পরে কালবেশাখী। এতে অনেক আমের গুটি ঝরে গেছে। এছাড়া গাছের ডালও ভেঙ্গেছে। এতে করে অর্থিকভাবে ক্ষতির কথা ভাবছেন তারা। শুধু তাই নয়-ভালো ফলন নিয়ে সঙ্কিত তারা।

সাইফুল ইসলাম নামের আম চাষি বলছেন- আমের মুকুল আসা থেকে শুর করে এখন পর্যন্ত একদিনও বৃষ্টি হয়নি। অতিরিক্ত তাপ ও খরা চলছে। এর পরে শুকনা ঝড়। এতে করে ২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। এখন গাছে যে আম আছে সেগুলো ভালোভাবে পরিচর্যা করতে হবে। গুটি ঝরা ও পোকার আক্রমন রোধে কিটনাশ স্পের করছেন তারা।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল আলিম জানান- আক্রান্ত ফল গাছে থাক আর মাটিতে থাক সেটি সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।

স/আ