খন্দকার মোশাররফের হুঙ্কার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন হুকার দিয়ে বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে জনগণ ও বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। কোনো নির্বাচন করতেও দেওয়া হবে না।

আজ শনিবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) উদ্যোগে দলটির প্রয়াত যুগ্ম মহাসচিব মহসীন সরকারের স্মরণে এই সভা হয়।

ড. মোশাররফ বলেন, একটাই লক্ষ্য এদেশের জনগণের স্বার্থে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেটা করতে হলে এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকার- এগুলো সব একটি দাবি। এই একদফা দাবিতে আরও বড় ধরনের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি। জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে আগামী দিনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে হবে। এজন্য একটি কঠিন আন্দোলন করতে হবে। জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। যদি এই দেশকে বাঁচাতে হয়, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, তাহলে এই সরকারকে হটানো ছাড়া সামনে কোনো বিকল্প নেই।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, অনেকেই বললেন- নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সব দলকেই এ কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু এ নির্বাচন তো দলীয় কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা এ নির্বাচন কমিশনের নেই। এ কমিশন শেখ হাসিনার বাইরে এক পা নড়াচড়া করতে পারে না।

তিনি বলেন, এই আন্দোলন বিএনপির স্বার্থে নয়, ২০ দলীয় জোটের স্বার্থে নয়। এটা জনগণের স্বার্থে। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। সেজন্য একটি গণআন্দোলনের বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলেছেন ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয়। এর দুই কারণ। একটি হচ্ছে- করোনার কারণে আমরা কিন্তু সবাই রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বিএনপির সব কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখেছিলাম। সেই কারণে মনে হবে আমাদের জোট একটু স্তিমিত অবস্থায় আছে। কিন্তু সেটা থাকবে না।

আয়োজক দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, সেলিম মাস্টার, মাওলানা রুহুল আমিন, শফিউদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।

এছাড়াও প্রয়াত মহসীন সরকারের কন্যা ফাতেমাতুজ জোহরা মীম ও ছেলে মিরাজ হোসেন শুভ উপস্থিত ছিলেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর