কয়েকমাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তালেবান যোদ্ধারা

দীর্ঘ দুই দশক পর আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতায় ফিরছে তালেবান। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে রক্ষণশীল সংগঠনটি। তালেবানের অর্থনীতি অনেকাংশেই বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ইসলামী আমিরাতকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় সেসব সাহায্যের অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। এদিকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তালেবান যোদ্ধারা গত কয়েকমাস বেতন পাননি বলে নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

মার্কিন ওই গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রধান শহরের বাইরে যেসব তালেবান যোদ্ধারা রয়েছে তারা সামান্য খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের ঘুমাতে হচ্ছে ট্রাকে কিংবা অস্থায়ী আস্তানায়।

এদিকে, তালেবান গতমাসে কাবুল দখলের পরই ঋণ আটকে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো সংস্থাগুলো। অন্যদিকে, ফিয়ান্সিয়াল অ্যাকশন টেকন ফোর্স (এফটিএএফ) ৩৯টি সদস্য দেশকে তালেবানের সম্পদ ব্লক করে দিতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে আফগান অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশই দারিদ্র সীমার নিচে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।তালেবান ক্ষমতা দখলের আগে দেশটির ৭২ শতাংশ জন দারিদ্র সীমার নিচে বাস করত।

অন্যদিকে এসবের মধ্যেই আফগানিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান, তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা কারি ফসিহউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন সুসংগঠিত কাঠামোর সঙ্গে আফগানিস্তানের একটি নিজস্ব ‘নিয়মিত এবং সুশৃঙ্খল’ সেনাবাহিনী থাকবে। এই সেনাবাহিনীর সৈন্যদের আফগানিস্তানের সীমান্ত রক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আফগান সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনের জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তালেবান সেনাপ্রধান।

 

সূত্রঃ যুগান্তর