সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শুধু সেনাবাহিনী দিয়ে নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব। শেখ হাসিনা আবারও চট করে দেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে ওয়েলকাম জানাই, দেশে আসেন জনগণের মুখোমুখি হন। গিয়েছেন তো পালিয়ে, অডিও-ভিডিও দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন- এতে কোনও লাভ হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘দেশে আসুন। বিচারের মুখোমুখি হন। আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই, দেশের প্রচলিত আইনে আপনার বিচার হবে। বেগম জিয়াকে ভুয়া শাস্তি দিয়েছিলেন।’ তিনি ঝুপ করে এসে টুপ করে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেত্রী-নেতারা আপনাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আপনারা অনুশোচনা করুন। জনগণের কাছে দুই হাত দিয়ে করজোরে ক্ষমা চান। আমাদের দেশের জনগণ খুবই আবেগপ্রবণ, তারা ক্ষমাও করতে পারেন। এরপর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েন।’
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বান আপনারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। আমাদের দলের মহাসচিব গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য রোডম্যাপের কথা বলেছেন, সেটা যে কয়েকদিনের হোক আপনাদের বলা উচিত। কারণ দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য- সেটা থেকে তাদের বঞ্চিত করে রাখা ঠিক হবে না। কারণ দেশের জনগণ সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে এটা ভাববার কোনও কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা পদে নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে।’ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সহকারী হিসেবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার- তাকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সে আগে জাসদ রবের সঙ্গে ছিল। এরপর স্বৈরাচারী সরকারের দোসর হিসেবে ১৯৯৬ সালে, ওয়ান ইলেভেনের পরও দোসরের সঙ্গে কাজ করেছে। তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও আকিজ বশির গ্রুপের মালিক সেখ বশিরউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘তারা স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন। বশিরউদ্দিনের ভাই আওয়ামী লীগের এমপি ছিল, তার নামে বনানী থানায় হত্যা মামলা আছে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা দেয়া ঠিক হয়নি।’
রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু, সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সদস্য সচিব আনিসুল হক লাকুসহ অন্যরা।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন