ক্ষমতার অপব্যবহার: ইতালিতে অ্যামাজনকে ১২৮ কোটি ডলার জরিমানা

বাজার আধিপত্যের অপব্যবহার করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনকে ১১৩ কোটি ইউরো (প্রায় ১২৮ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে ইতালির অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। ইউরোপে কোনো মার্কিন টেক জায়ান্টের বিরুদ্ধে এটাই সর্বোচ্চ জরিমানার ঘটনা। তবে অ্যামাজন বলেছে, তারা ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে এবং এর বিরুদ্ধে যথাসময়ে আপিল করা হবে।

বিশ্বের বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গোপনীয়তা এবং ভুল তথ্য সংক্রান্ত একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষগুলো নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় তদন্ত। অভিযোগ রয়েছে, কিছু প্রতিষ্ঠান বাজারে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।

ইউরোপীয় কর্তপক্ষের তদন্ত থেকে নিস্তার পায়নি অ্যালফাবেটের গুগল, মেটা বা ফেসবুক, অ্যাপল, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ইতালির অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যামাজন তার নিজস্ব লজিস্টিক পরিষেবা ‘ফুলফিলমেন্ট বাই অ্যামাজন’ (এফবিএ) গ্রহণের পক্ষে অ্যামাজন ডট আইটি’তে সক্রিয় বিক্রেতাদের মাধ্যমে ইতালীয় বাজারে নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে।

তারা বলেছে, অ্যামাজন এফবিএ অ্যাক্সেস ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যার মধ্যে প্রাইম লেবেল অন্যতম। এটি অ্যামাজন ডট আইটি’তে দৃশ্যমানতা এবং বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যামাজন এফবিএ’র মাধ্যমে পরিচালিত নয় এমন অফারগুলোর সঙ্গে প্রাইম লেবেল যুক্ত করা থেকে থার্ড-পার্টি বিক্রেতাদের বাধা দেয়। প্রাইম লেবেল অ্যামাজনের লয়্যালটি প্রোগ্রামের আওতায় ৭০ লাখেরও বেশি সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং উচ্চ-খরচাকারী গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি সহজ করে তোলে।

ক্ষমতার অপব্যবহার: ইতালিতে অ্যামাজনকে ১২৮ কোটি ডলার জরিমানা

অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, তারা অ্যামাজনকে একটি সংশোধনমূলক ব্যবস্থার নির্দেশ দেবে, যা একটি পর্যবেক্ষণ ট্রাস্টির মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হবে।

তবে অ্যামাজন বলছে, এফবিএ ‘পুরোপুরি ঐচ্ছিক’ একটি পরিষেবা এবং থার্ড-পার্টি বিক্রেতাদের সিংহভাগই এটি ব্যবহার করে না। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিক্রেতারা এফবিএ বেছে নেয়, কারণ এটি মূল্যের দিক থেকে কার্যকর, সুবিধাজনক এবং প্রতিযোগিতামূলক।

ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অ্যামাজনের মন্তব্য, তাদের জরিমানা ও সংস্কার প্রস্তাবনা অযৌক্তিক এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইইউ কমিশন বলেছে, এ বিষয়ে ইতালীয় কর্তৃপক্ষকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। অ্যামাজনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে তাদেরও দুটি তদন্ত চলছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ