বুধবার , ১৭ জুলাই ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ, আহত অর্ধশত

Paris
জুলাই ১৭, ২০২৪ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বগুড়ার শেরপুরে শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে জমায়েত ও ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ওসি, সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত পুলিশের ওসি রেজাউল করিম রেজাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সোয়া একটার দিকে শেরপুর শহরের ধুনট মোড় এলাকায় আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুমন জিহাদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রেজাউল করিম ও শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা সহ সঙ্গীয় ফোর্স আন্দোলনকারীদের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু আন্দোলনকারী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উত্তেজিত হলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় পরে তা দফায় দফায় সংঘর্ষের রূপ নেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ দেয়। কিন্তু কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এসময় পুলিশ এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে বিক্ষুদ্ধরা পিছু ঘটে চলে যায়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে মার্কেটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন দোকানিরা। পরে আবারো আন্দোলনকারীরা পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সামনে অবস্থান নেয় পরে ওখানেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এঘটনায় বগুড়া থেকে অতিরিক্ত এক প্লাটুন পুলিশ ও এক প্লাটুন র‌্যাবের টিম মহড়া দিতেও গেছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিহতের ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় জমায়েত হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এভাবে প্রায় তিনঘন্টা ধরে চলে তাদের এই কর্মসূচি। একপর্যায়ে আন্দোলকারীরা বেলা সোয়া একটার দিকে মহাসড়ক দখল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলেন।

এনিয়ে উভয়ের পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রতিবাদে ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজার মাথায় ইটের আঘাত লাগে। তাছাড়া আন্দোলনকারী ইট-পাটকেল ছোঁড়া ও পুলিশের টিলসেলের কালো ধোঁয়ায় ৪জন গণমাধ্যমকমী সহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আন্দোলনকারী জানান, মঙ্গলবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে আজ ভোরে তাদের তিন জনকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজকের মতো তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী এ প্রসঙ্গে বলেন, আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এছাড়া আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর