‘কোনো দেশ ২০৩০ সালের সবগুলো লক্ষ্য পূরণের পর্যায়ে নেই’

করোনাভাইরাসের আগেও সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টে গোলের নির্ধারিত লক্ষ্যের থেকে ফাইন্যান্সিয়াল পার্থক্য ছিল ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে কোনো দেশ ২০৩০ সালের সবগুলো লক্ষ্য পূরণের পর্যায়ে নেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও বিশাল ফাইন্যান্সিয়াল পার্থক্য রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকার করোনার সময় দ্বিমুখী সমস্যা মোকাবিলা করছে। একদিকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধি। বিশ্বের এখন প্রয়োজন কার্যকর বহুমুখী উন্নয়ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) মাল্টিলেটারেল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য করোনা ভাইরাস মহামারির ক্ষতি পুনরুদ্ধারে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতার বিষয়ে বলা হয় প্রতিবেদনটিতে।

আজ মঙ্গলবার কভিড-১৯ প্রতিরোধে বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপ: প্রেক্ষাপট দক্ষিণ এশিয়ার, শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এ সব তথ্য উঠে আসে।

এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং সহ-আয়োজক হিসেবে যুক্ত ছিল রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (আরআইএস), ইন্ডিয়া; সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইন্সটিটিউট (এসডিপিআই), পাকিস্তান; ইন্সিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ অব শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কা; সাউথ এশিয়ান ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনমিক্স অ্যান্ড এনভাইরোমেন্ট (সাওতী), নেপাল।

আলোচকরা নিজ নিজ দেশের প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাস কালীন সমস্যা এবং উত্তরণের বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, উন্নয়ন অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তৎপর হতে হবে। কভিড উত্তর সময়কালে সামাজিক সুরক্ষায় কিভাবে অর্থ নিশ্চিত করা যায় সেই সম্পর্কেও বক্তারা আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদষ্টো ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ওইসিডি’র মহাসচিব এঙ্গেল গুড়িয়া। আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক, ড. ফাহমিদা খাতুন।

অলিভিয়ার ক্যাটানেয়, হেড অব ইউনিট, পলিসি অ্যানালাইসিস অ্যান্ড স্টর্্যাটেজি, ওইসিডি ও ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো ও সাউদার্ন ভয়েসের চেয়ার অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

আরআইএস’র মহাপরিচালক অধ্যাপক শচীন চতুর্বেদী, এসডিপিআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আবিদ কাইয়ুম সুলেরি, আইপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক ড. দুশনী উইরাকুন এবং সাওতী’র নির্বাহী পরিচালক ড. পুষ্পা শর্মাসহ আয়োজকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ