কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন নিয়ে পুঠিয়া থেকে ধান কাটতে গেলো আড়াইশ শ্রমিক

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস বা কভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে দেশ। চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকটে দেশের বিভিন্ন জেলায় কৃষকের পাকা ধান পড়ে আছে মাঠে। চলতি লকডাউনে শ্রমিকরাও ঘরে বসে আছে ফলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। এতে তীব্র শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষক।

তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে আড়াইশ কৃষি শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে। প্রত্যয়ন নিয়ে তারা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ধান কাটতে পারবে।

 সেই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওলিউজ্জামান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুন নাহার ভূইয়ার যৌথ স্বাক্ষরে আড়াইশ শ্রমিককে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বোরো মৌসুমে এ উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটতে যায় পুঠিয়ার কৃষি শ্রমিকেরা। কিন্তু করোনার কারনে চলতি লকডাউনে পড়ে এবার তারা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারছে না। ফলে ওই সব জেলার কৃষকরা চরম শ্রমিক সংকটে পড়েছে। সংকট কাটাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশে শ্রমিকদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এই আড়াইশ জন শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫০ জন শ্রমিককে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে। তারা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে নওগাঁ, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ধান কাটতে যাবেন। পথে যেনো তাদের কোন রকম হেনস্তার স্বীকার হতে না হয় সে কারনে তাদের কে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে। এটা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

স/অ