‘কাশ্মীরে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতীয় নাগরিক সুবিধা বেশি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

কাশ্মীরের এক অংশ ভারতের আর আরেক অংশ পাকিস্তানের। কিন্তু এই দুই অংশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন সেটি বিশ্লেষণ করেছে ভারতের দিল্লিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সংস্থা ‘ল এন্ড সোসাইটি এলায়েন্স’।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকখাতে পাকিস্তান যে পরিমাণ বরাদ্দ দিচ্ছে তার চেয়ে জম্মু কাশ্মীরে বেশি বরাদ্দ দিচ্ছে ভারত। দিল্লিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সংস্থা ‘ল এন্ড সোসাইটি এলায়েন্স’-এর একটি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশ ভাগের পর থেকে বিতর্কিত ও সংঘাতপূর্ণ এলাকা হিসেবে কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব আজও বিরাজমান। এক কাশ্মীরের অস্তিত্ব জড়িয়ে রয়েছে তিনটি দেশে। ভারতের অধীনে জম্মু কাশ্মীর, পাকিস্তানের অধীনে আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তান এবং চীনের অধীনে আকসাই চীন। যে কারণে বহু বছর ধরে স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে ভারতীয় সেনাদের। যার প্রধান ইন্ধনদাতা হলো পাকিস্তান।

ভারতের ‘ল এন্ড সোসাইটি এলায়েন্স’ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য ইসলামাবাদ যে পরিমাণ বাজেট শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে তার থেকে কয়েক গুণ বেশি নাগরিক সুবিধা দিচ্ছে দিল্লি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দেখা গেছে, পাকিস্তানের অধীনে আজাদ কাশ্মীরে বাজেট ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৫৬ কোটি পাকিস্তানি রুপি। আর জম্মু কাশ্মীরের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৮৮ হাজার ৯১১ কোটি ভারতীয় রুপি যা পাকিস্তানের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।

এছাড়া জম্মু কাশ্মীরের স্বাস্থ্যখাতে তহবিল দেওয়া হয়েছে ৬১৮ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে মাত্র ৬২ বিলিয়ন ডলার। জম্মু কাশ্মীরে হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪টি। আর আজাদ কাশ্মীরে হাসপাতাল রয়েছে মাত্র ৭৩টি।

শিক্ষাখাতে দেখা গেছে- পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানে শিক্ষার হার মাত্র ৭ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মাত্র ৬টি। আর জম্মু কাশ্মীরে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার হার ৬৭ শতাংশ। আরো রয়েছে ৪টি প্রিমিয়াম ইন্সটিটিউশন।

ভারত সরকার কাশ্মীরের শিক্ষাখাতে ভারত সরকার এরই মাঝে ব্যয় করেছে ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, অপরদিকে আজাদ কাশ্মীরের জন্য পাকিস্তান করেছে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার।

সূত্র: কালেরকন্ঠ