‘কাশ্মীরে গিয়ে শক্তি দেখান’: বউ-পেটানো স্বামীকে বিচারক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্ত্রীকে মারধরের অপরাধে যে কাশ্মীরে গিয়ে তলোয়ার হাতে শক্তি প্রদর্শনের উপদেশ শুনতে হবে, সেটা বোধহয় কল্পনাও করেন নি বনরাজসিং রাণা!

 

গুজরাত হাইকোর্টের বিচারক সোনিয়া গোকানি ঠিক এইভাবেই ধমক দিয়েছেন মি. রাণাকে।

 

তাঁর স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে নিয়মিত মারধর করেন পেশায় গাড়ি চালক মি. রাণা। ছোটখাটো সাংসারিক ঝামেলাতেও তলোয়ার দিয়ে স্ত্রী সূরিয়াবেনের গলা কেটে ফেলার ভয় দেখাতেন তিনি।

 

পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মি. রাণাকে। কিন্তু স্বজাতির বয়স্কদের সালিশীর মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়।

 

তারপরেই মি. রাণা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ যেসব মামলা দায়ের করেছে, সেগুলো তুলে নেওয়া হোক কারণ স্বামী -স্ত্রী নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিয়েছেন।

 

মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি শুক্রবার ওঠে মিসেস গোকানির এজলাসে।

 

শুনানীর এক পর্যায়ে বিচারক মন্তব্য করেন, “জ্ম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে কীরকম উত্তেজনা রয়েছে জানেন নিশ্চই! আপনার মতো বলবান লোকেরই তো এখন সীমান্ত অঞ্চলে দরকার!”

_91366305_14_front-view-through-trees

বিচারক বলেন, “খোলা তলোয়ার হাতে নিজের শক্তিই যদি দেখাতে চান, তাহলে সীমান্ত অঞ্চলে গিয়েই দেখান সেটা। ওখানে গিয়ে দেশসেবা করুন, নিজের স্ত্রীকে রেহাই দিন।”

 

স্বামীকে ধমক দেওয়ার পরে অবশ্য আদালত মি. রাণার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে যে মামলাটি তুলে নিলেই ওই দম্পতি শান্তিতে সংসার করতে পারবেন।

 

বনরাজসিং রাণার উকিল হার্দিক মেহতা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “বিচারপতি শুনানীর সময়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। ওটা একটা পর্যবেক্ষণ ছিল আদালতের। নির্দেশে এটা আর উল্লেখ করেন নি বিচারক।”

 

সেরকমই আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি সোনিয়া গোকানি। কিন্তু সত্যিই কীরকম ব্যবহার করছেন বনরাজসিং রাণা, সেটার ওপরে আগামী দুবছর নজরদারি চালাতেও নির্দেশ গেছে সমাজকল্যান দপ্তরের কাছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা