কারাগার থেকে বন্দি উধাও, প্রধান কারারক্ষীসহ ৬ জন বরখাস্ত

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আবু বকর সিদ্দিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের তেছের আলী গাইনের ছেলে।

এ ঘটনায় প্রধান কারারক্ষীসহ ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার বাহারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সান্ধ্যকালীন বন্দি গণনার সময় থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি শ্যামনগর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় ( নং-১২(৩)০২) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আবু বকর সিদ্দিককে ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়।

২০১২ সালের ২৭ জুলাই সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। কারাগারটি বিশাল আকৃতির হওয়ায় কোথাও আবু বকর সিদ্দিক লুকিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এত নজরদারি ও নিরাপত্তার ভেতর থেকে একজন বন্দি কীভাবে উধাও হয়- এমন প্রশ্নে করাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম সমকালকে বলেন, যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের অবহেলা মূলত এর জন্য দায়ী।

ইতোমধ্যে প্রধান কারারক্ষীসহ ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় একজন ডিআইজি প্রিজন, একজন সিনিয়র জেল সুপার ও একজন জেলারকে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এটা একটা বড় কারাগার। এখানে ২ হাজার ৮০৬ জন বন্দি রয়েছেন।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে করাগার পরিদর্শন করা হয়েছে। কারাগারের ভেতর থেকে আসামি উধাও হওয়ার ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় আত্মগোপন করেছিলেন আবু বকর সিদ্দিক। তখন তিনি সেল এলাকায় সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাকে ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র সমকাল