কাফনের কাপড় পরে পৌরসভা ঘেরাও

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করেছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর পৌরসভা ঘেরাও করে। এ সময় মেয়রকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আন্দোলনরত সৈয়দপুর ক্ষুদ্র আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, ১৯২৫ সাল থেকে আমরা সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকায় কাঁচাবাজার পরিচালনা করে আসছি। সম্প্রতি করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে শহর থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে বাইপাস সড়কের মিস্ত্রিপাড়া সেপটিক ট্যাংক এলাকায় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করে প্রশাসন।

এ নিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আগামী ১৩ জুনের মধ্যে কাঁচাবাজারটি উল্লিখিত স্থানে স্থানান্তরের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তবে স্থানান্তরের শর্ত ছিল ওই এলাকায় কোনো ভাড়া নেয়া হবে না এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাঁচাবাজার পূর্বের স্থানে ফিরে আসবে। যার একটিও মানা হয়নি। বরং বাইপাস সেপটিক ট্যাংক কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।

এমনিতে করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। তার উপর শর্ত ভঙ্গ করে ভাড়া আদায় করায় ব্যবসায়ীরা পথে বসার অবস্থায় উপনিত। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। তাই আমরা পৌর সবজিবাজারে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছি। কিন্তু বাধা দিচ্ছে প্রশাসন।

পৌর সবজিবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল বলেন, আমরা জীবন-জীবীকার স্বার্থে পূর্বের স্থানে ব্যবসা করতে নেমেছি। এখানে আমাদের বাধা দেয়া হলে আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না।

এ সময় ব্যবসায়ীরা শরীরে কাফনের কাপড় বেঁধে পৌরসভা ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। জীবন দিব তবু জায়গা ছাড়বো না, শহরবাসীর সুবিধার্থে পৌর কাঁচাবাজারে আমাদের ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা পৌর ভবন ঘেরাও করে রাখে।

এ সময় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের স্মারকলিপিতে যা যা লেখা রয়েছে এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে। দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।