রাজশাহীতে কাটাশাক বিক্রি করেন তারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইচ্ছে থাকলেও খাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনা- বেশকিছু শাকপ্রিয় মানুষগুলোর। কারণ শাক খুব ছোট-ছোট করে কাটতে হয়। বথিয়ার শাক, বুটের শাক ও খেসারির শাক কাটার বিড়ম্বনা এড়িয়ে যান বেশির ভাগ গৃহিণী। এমন চিন্তায় কাটাশাক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কয়েক নারী। মূলত তারা বিভিন্ন শাক কিনে, পরিস্কার করে, ধূয়ে কেটে বিক্রি করেন। বর্তমানে খেসারির কাটাশাক প্রতিকেজি ৬০ টাকা করে নেয়া হয়।

নগরীর সিএন্ডবির মোড়ে প্রতিদিন কাটাশাকের পসরা নিয়ে বসেন- রীমা, ফাহিমা, মানুসহ কয়েকজন। তারা প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাটাশাক বিক্রি করেন।

এই নারীরা জানান, গ্রামে বেশি ধারালো হাসুয়া দিয়ে শাককাটা হয়। আর শাক সবাই কাটতে পারে না। হাত কেটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শহরের বেশিরভাগ গৃহীণি পারেন না শাক কাটতে। তারা কাটাকাটির বিড়ম্বনায় ছাড়া যে শাক পাওয়া যায় সেগুলো কেনেন।

বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, রীমা, ফাহিমা, মানু- তিনজন আলাদা আলাদাভাবে কাটাশাক বিক্রি করছেন। পদ্মার চর থেকে শাক কিনেছেন। এরপরে তাদের নিজেদের বাড়ি নগরীর শ্রীরামপুর নিয়ে পানিতে পরিষ্কার করে নেন। এর পরে ক্রেতাদের সামনে শাক কেটে বিক্রি করছেন। কাটাশাক কিনে ক্রেতারাও খুশি।

শহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, শুধু শীতেই এই শাক পাওয়া যায়। শাক খেতে ভালোই লাগে, তাবে কাটার অভাবে খাওয়া হয় না। তবে গ্রামের বাড়িতে গেলে খাওয়া হয়। তিনি বলেন, খেসারির থেকে বুটের শাক বেশি ভালোলাগে। বুটের শাক খুব কম দেখা যায়। তবে মাঝে মাঝে বথিয়ার শাক সবজিওয়ালাদের কাছে পাওয়া যায়।

কাটাশাক বিক্রেতা ফাহিমা জানান, ‘এভাবে শাক বিক্রিতে আমাদেরও ভালো লাগে। অনেককেই বলতে শুনি কাটার অভাবে খেসারির শাক অনেক দিন খায়নি। আজ খাব।’ তিনি আরও জানান, তার স্বামী রিকসা চালায়। ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়ে। স্বামীর সংসার চালানো কষ্টকর হয়। শাক বিক্রির টাকা সংসারে লাগায়। সূত্র: সোনার দেশ