কাটাখালীর মেয়র আব্বাসের পিএসসহ দুজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মনিরুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত রেজাউল করিম বলেন, ‘গতকাল রাত নয়টার দিকে একটি সাদা গাড়িতে করে বেশ কয়েকজন মনিরুলের খাবার হোটেল একতায় আসেন। তাঁরা মনিরুলের বড় ভাই জহুরুলের খোঁজ করেন। পরে দোকান থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে জহুরুলের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে ডেকে আনেন। এ সময় জহুরুলকে জোর করে ধরে সাদা গাড়িতে তুলে নেন। মনিরুল বাধা দেন। এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি সাদা গাড়িতে করে কয়েকজন এসে মনিরুলকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তুলে নেওয়ার সময় উপস্থিত লোকজনকে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা র‌্যাবের।’

মনিরুলের স্ত্রী সোমাইয়া আক্তার বলেন, প্রথমে তাঁর ভাশুর জহুরুলকে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে বাধা দিলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তাঁর স্বামী মনিরুলকেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থাকা লোকজন বলছে, র‍্যাব জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাঁরা পরে আর তাঁদের দুই ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা আতঙ্কিত। তিনি আরও বলেন, তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে তিনি ফোন দেন জহুরুলকে। রাত ১০টা ও রাত ২টার দিকে দুই দফায় ফোন ধরে জহুরুল শুধু বলেন, তাঁরা ভালো আছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, কে আটক করেছে, তা বলেননি। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাব-৫–এর রাজশাহী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস শাকিব বলেন, ঢাকা থেকে র‍্যাব কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলীকে আটক করেছে, শুধু এই খবর তাঁদের কাছে আছে। এ ছাড়া র‍্যাবের পক্ষ থেকে আর কাউকে আটক করা হয়নি।

কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, তাঁরা শুনেছেন, র‍্যাব কাটাখালী থেকে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাঁদের কাছে কাউকে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই তাঁরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আব্বাস আলীর বিতর্কিত মন্তব্য–সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওর কণ্ঠ নিজের বলে স্বীকার করেছেন তিনি। পরে তিনি ভুলের ক্ষমা চান। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। প্রথম আলো