কাজের চাপে সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব? কী করবেন

ব্যস্ত জীবনে সঙ্গীকে সময় দেওয়া অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।  তার ওপর হঠাৎ অফিসে কাজ ও দায়িত্ব বেড়ে দেখা-সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।  এ ক্ষেত্রে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।  কারণ সঙ্গী আপনার কাছ থেকে সময় চাইবে এটিই স্বাভাবিক।  সঙ্গী চাইবে আপনি তাকে সময় দিন, তার খোঁজখবর রাখুন ও গুরুত্ব দিন।

অফিসের বাড়তি কাজ মানুষকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করার পাশাপশি অনেক সময় সৃষ্টি করতে পারে বাড়তি চাপ ও উদ্বেগের। তাই জীবনে টিকে থাকতে, এসব বিষয় খুব ভালোভাবে মানিয়ে-গুছিয়ে চলতে হয়।  সব দিক যদি আপনি ঠিকমতো মানিয়ে নিয়ে না চলতে পারেন, তা হলে সেটি আপনার জীবনে ছেদ ফেলতে পারে। তাই কোনো বিষয়ে চাপ না নিয়ে সঠিক উপায়ে সব দিক মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।

১. আপনার অনুভূতি সঙ্গীকে জানান
সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কী অনুভব করছেন সেটি আপনার সঙ্গীকে জানানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কোনো বিষয়ে চাপে থাকলে বা কাজের ক্ষেত্রে চাপ অনুভব করলে সেটি আপনার সঙ্গীকে শেয়ার করুন। এটি আপনাদের দুজনের সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে সাহায্য করবে এবং আপনার চাপ মোকাবিলা করতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

২. সঙ্গীর সঙ্গে মিলিয়ে কোনো শখ পূরণ করুন
আপনি যদি সঙ্গীকে প্রকৃত ভালোবেসে থাকেন, তা হলে নিশ্চয়ই আপনার জানা তার কী শখ।  ব্যস্ত জীবনে কাজের ফাঁকে তাকে নিয়ে শখ পূরণ করুন।  দুজনে একসঙ্গে চিন্তা করে কোনো শখ পূরণ করতে পারলে যেটি আপনাদের বন্ধনকে আরও জোরালো করতে সহায়তা করবে।

৩. বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ
আপনার স্বজন ও বন্ধু মহলে সঙ্গীকে যোগাযোগ করিয়ে দিন।  তারা দুঃসময়ে আপনার হয়ে ওকালতি করে সঙ্গীর ভুল বোঝাতে পারবে।  এটি আপনাকে আপনার অফিসের মোড থেকে বেরিয়ে আসতে এবং কাজের চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করবে।

৪. বাসায় ফিরে সঙ্গীকে সময় দিন
কাজ শেষ করে বাসায় এসে কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসে সময় না দিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন।  একসঙ্গে বসুন, আড্ডা দিন। একসঙ্গে খাবার খান, ডিনারের সময় গান শুনতে বা টিভি দেখতে পারেন বা সময় করে পার্কে হাঁটতে পারেন। অনেক বেশি কিছু না করে খুব সামান্য কিছু করেও সঙ্গীর সঙ্গে ভালো মুহুর্ত পার করা যায়।

৫. শরীরচর্চা 
আপনার প্রতিদিনের রুটিনে অল্প হলেও কিছু শারীরিক ব্যয়াম অন্তর্ভুক্ত করুন।  জিম করা, যোগব্যক্তি বা খেলাধুলা এর যে কোনো একটিতে সঙ্গীকে পার্টনার করুন।  এটি আপনাকে কাজের চাপ থেকে মুক্তি দেবে এবং শরীরকেও ভালো থাকতে সাহায্য করবে।

৬. দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করুন 
আপনি কী চান এবং কীভাবে থাকতে চান সেটি নিজের মতো করে অনুধাবন করুন। এ ক্ষেত্রে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, আপনার সঙ্গে কী হচ্ছে বা কাজের চাপ আপনার জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে এটিও ভাবতে হবে আপনি যদি আপনার সঙ্গীর জায়গায় থাকতেন, তবে কেমন লাগত আপনার। সেটি ভেবে সে অনুযায়ী সঙ্গীকে সময় দিন। এ বিষয়গুলো আপনার নিজেকে বুঝতে এবং নিজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পেতে সহায়তা করবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর