কাঁদলেন বাদল রায়

সভাপতি পদে জমা দেয়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করতে ঘন্টাখানেক বিলম্ব হয়েছিল বাদল রায়ের। বিলম্বে আবেদন করায় তা গ্রহণযোগ্য হয়নি বাফুফের নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিশনের কাছে।

স্বাভাবিকভাবেই আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ব্যালটে থাকবে সাবেক এ তারকা ফুটবলারের নাম। স্বামীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেয়ার পর মাধুরী রায় বলেছিলেন, কোনো কাউন্সিলর যেন বাদল রায়কে ভোট না দেন।

কিন্তু বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে গেলেও তার শুভাকাঙ্খী ও সমর্থকরা ঠিকই ভোট চাইতে থাকেন। যে কারণে বাদল রায় এবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা বললেন।

মোহামেডানের বাদল-যে নামে দেশের ফুটবলাঙ্গনে বেশি পরিচিত সাবেক এ তারকা ফুটবলার, সেই ক্লাবে বসে মাস ছয়েক আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার। প্রিয় সেই মোহামেডান ক্লাবে বসেই শুক্রবার ঘোষণা দিলেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার।

যে ঘোষণা দিতে গিয়ে আবেগ আটকে রাখতে পারেননি টানা ১২ বছর বাফুফের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করা বাদল রায়। ফুটবলে কাজ করতে পারবো না- বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন ডাকসুর সাবেক এ ক্রীড়া সম্পাদক। পাশে তখন তার স্ত্রী মাধুরী রায়।

‘ফুটবল থেকে আমাকে সরে যেতে হচ্ছে তাতে আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছি। ফুটবলের জন্য কাজ করতেই সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। অনেক কষ্ট ও দুঃখ নিয়ে আজ আপনাদের ডেকেছি। আমার অনেক কষ্ট লাগছে যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার শরীরের ওপর দিয়ে অনেক চাপ যাচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠলেও এখনও দুর্বলতা কাটেনি। তো কিভাবে আমি নির্বাচনের ক্যাম্পিং করবো! আমার মেয়ে ও স্ত্রী সবাই বললো-‘ইলেকশন করার দরকার নেই, তোমার ভালো থাকার দরকার। তুমি বেঁচে থাকো, আমাদের জন্য বেঁচে থাকো’। তারপর আমি ভোট না করার সিদ্ধান্ত নিলাম’-বলছিলেন বাদল রায়।

কোনো চাপের কারণে নির্বাচন থেকে সরে যাননি উল্লেখ করে বাদল রায় বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন আমার ওপর চাপ আছে। আসলে কোনো চাপ নয়। নিজের কাছেই আমার চাপ। আমি তৃণমূলের সংগঠকদের নিয়ে বেশি ভাবি। তারা খুব অসহায়। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণে তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি কাউন্সিলরদের অনুরোধ করবো, আপনারা চিন্তাভাবনা করে ভোট দেবেন। আমি চাই ফুটবল ফেডারেশনে শক্তিশালী কমিটি আসুক। এমন কাউকে ভোট দিয়েন না যারা ফুটবলের জন্য কাজ করবে না।’

মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদনের পর তা গ্রহণ না করা প্রসঙ্গে বাদল রায় বলেন, ‘হ্যাঁ, আবেদন করতে বিলম্ব হয়েছে। তাতে আইনগতভাবে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। সালাউদ্দিন সাহেব চাইলে পারতেন এটা এড়িয়ে যেতে। তার তো শক্তি অনেক। আমাকে কেন হয়রানি করছেন, জানি না।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ