কাঁকরোলের বিশেষ পদ রান্না করে তাক লাগিয়ে দিন আজই

কাঁকরোল সব্জিটা রান্নাঘরে খানিকটা ব্রাত্য বললে ভুল হবে না। চাকা চাকা করে কেটে ভাজা খান কেউ কেউ। তবে অন্যরকম একটা মুখরোচক খাবার প্রস্তুত করা যায় এই কাঁকরোল দিয়ে। সেটি হল কাঁকরোলের পুর। এটি নিরামিষ পদ হিসেবে খুবই উপাদেয়। এ ছাড়াও ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই সব্জি। আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য রেসিপির সন্ধান দিলেন স্বাদকাহনের সুতপা ভট্টাচার্য্য।

উপকরণ

বড় কাঁকরোল-২টি

সর্ষে-২ চা চামচ

কাঁচালঙ্কা-২টি

নারকেল কোরা- ৪ চা চামচ

সর্ষের তেল (ভাজার জন্য)-২০০ গ্রাম

লবণ-স্বাদ অনুসারে

হলুদ-এক চতুর্থাংশ চা চামচ

কালো জিরে-আধ চা চামচ

পোস্তদানা- এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ

চিনি-আধ চা চামচ

বেসন-৫০গ্রাম

চালের গুঁড়ো-৫০ গ্রাম

প্রণালী: কাঁকরোলের বোঁটার দিক এবং মাথার দিক অল্প কেটে বাদ দিয়ে দু’ ফালি করে ধুয়ে নিন।  অল্প ভাপিয়ে নিন। একটা ছুরি বা কাঁটা চামচ বিঁধিয়ে দেখে নিন সঠিক সেদ্ধ হয়েছে কি না। সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে চামচ দিয়ে কুরে শাঁস বের করে নিন। এ বার একটি পাত্রে চামচ দিয়ে শাঁসটি ভাল করে চটকে নিন। বীজ পছন্দ না করলে বেছে আলাদা বাদ দিন। দুটো কাঁচালঙ্কা দিয়ে  সর্ষেটা বেটে রাখুন। ওই সর্ষে বাটা, নারকেল কোরা, ২ চা চামচ সর্ষের তেল, সামান্য চিনি, লবণ, অল্প কালো জিরে মিশিয়ে ভাল করে সবটা চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এ বার ফালি করা চারটে কাঁকরোলের মধ্যে ওই পুর ভরে নিন।

একটা পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, পোস্তদানা, হলুদ, সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে  ঘন করে একটি মিশ্রণ তৈরী করুন। একটা কড়াই কিংবা ফ্রাইং প্যানে সর্ষের তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হলে ওই পুর ভরা কাঁকরোল মিশ্রণে চুবিয়ে আস্তে করে তেলে ছাড়ুন। গ্যাসে আঁচ কমিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে ভাজুন। এক পিঠ হয়ে গেলে উল্টে অন্য পিঠ ভেজে নিতে হবে। কাঁকরোলের গায়ে লালচে-বাদামী রং ধরলে উঠিয়ে টিস্যু পেপারের উপর রাখুন। এতে বাড়তি তেল শুষে নেবে। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে চমৎকার লাগবে।