কষ্টার্জিত জয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল বার্সেলোনা

লকডাউনের পর মাঠে ফিরে তিনটি ম্যাচ ড্র করেই মূলত শিরোপা স্বপ্ন ম্লান করে ফেলেছে স্প্যানিশ লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বার্সেলোনা। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ টানা ৮ ম্যাচ জিতে চলে গেছে শিরোপার অনেক কাছে। রিয়ালের কাজ আরও সহজ হয়ে যেত যদি শনিবার রাতে হেরে যেত বার্সেলোনা।

তা হয়নি। রিয়াল ভায়োদলিদের মাঠে খেলতে গিয়ে কোনোমতে ন্যুনতম ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। গোলবারের নিচে মার্ক টের স্টেগান নামক দেয়াল না দাঁড়ালে হয়তো হেরেই যেত কাতালান ক্লাবটি। তবু শেষতক কষ্টার্জিত জয়ে শিরোপা সমীকরণ এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা।

ভায়োদলিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর ৩৬ ম্যাচে বার্সেলোনার সংগ্রহ ৭৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের ঝুলিতে রয়েছে ৮০ পয়েন্ট। অর্থাৎ বাকি থাকা তিন ম্যাচে রিয়াল যদি ৫ পয়েন্ট পায়, তাহলে কোন সমীকরণ ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হবে জিদানের শিষ্যরা।

অন্যদিকে লিগের দুই ম্যাচ বাকি থাকা বার্সার শিরোপা সমীকরণ এখন নিজেদের দুই ম্যাচ জেতার পর, রিয়ালের ৫ পয়েন্ট হারানো। বর্তমান ফর্মের বিচারে যা একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে। কেননা নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচে পূর্ণ ২৪ পয়েন্টই পেয়েছে রিয়াল। যা তাদের নিয়ে গেছে শিরোপার এত কাছে।

শিরোপার কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে ভায়োদলিদের মাঠে খেলতে নেমে নিজেদের চিরচেনা ফুটবলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি বার্সেলোনা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিওনেল মেসির এসিস্টে গোল আর্তুরো ভিদাল। এটিই হয়ে থাকে ম্যাচের ফল নির্ধারক গোল।

চলতি লিগে ভিদালের এটি অষ্টম গোল। অন্যদিকে লিওনেল মেসির এসিস্ট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০। একই মৌসুমে ২০ গোল ও ২০ এসিস্টের অনন্য অর্জনে পৌঁছেছেন তিনি। এর আগে ২০০২-০৩ মৌসুমে থিয়েরি অরি করেছিলেন একই কীর্তি।

ম্যাচের বাকি সময়ে যেন এই এক গোলের লিড বাঁচানোর দিকেই মনোযোগী ছিল বার্সেলোন। যার সুযোগে বেশ কিছু জোরাল আক্রমণ করেন ভায়োদলিদ। যা প্রতিহত হয় বার্সেলোনার রক্ষণভাগে। দলকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগান।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ