চীনের কর কর্তৃপক্ষ বিনোদনদাতা এবং সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের কর ন্যায্য প্রদানের জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কর ফাঁকি ও সেলিব্রিটি আধিক্যের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি সরকারি প্রচারণার একটি অংশ
বেইজিং কর ফাঁকির বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক রাষ্ট্রীয় ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে। বিনোদনশিল্পে অনৈতিক আচরণ অনুভূত হওয়ায় দেশের কিছু বড় তারকাদের লক্ষ্য করে এমন একটি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেইজিং, সাংহাই এবং গুয়াংডং, ঝেজিয়াং এবং জিয়াংসু প্রদেশসহ সারা দেশে বেশ কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্রে ট্যাক্স ব্যুরোগুলো সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। যেসব সেলিব্রিটি কম আয়ের রিপোর্ট করেছেন, তারা যদি বছরের শেষের মধ্যে রিফাইল না করেন তবে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। ২২ ডিসেম্বর (বুধবার) এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
গুয়াংডং কর অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, যদি স্ব-পরিদর্শন এবং স্ব-সংশোধন প্রত্যাখ্যান করা হয় বা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে না হয়, তাহলে কর বিভাগ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে।
সোমবার চীনের ‘লাইভ-স্ট্রিমিং রানি’ হুয়াং ওয়েইকে কর ফাঁকির জন্য রেকর্ড ২০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। আদেশের একদিন পর তাঁর ১১০ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ারসহ সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই আদেশ এলো।
চীনা অভিনেত্রী ঝেং শুয়াংকেও আগস্টে কর ফাঁকির জন্য ৪৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। একই কারণে পতনের আগে ফ্যান চীনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন। তিনি এক্স-মেন এবং আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অংশ নেন।
রাজ্য প্রশাসন বলছে, রেডিও, ফিল্ম এবং টেলিভিশন সেলিব্রিটিদের কর ফাঁকি ও বিনোদনকারীদের ‘আকাশচুম্বী বেতন’-এর জন্য ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ