করোনা চিকিৎসায় ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের অনুমতি দিল ভারত

অবশেষে করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিডিএসসিও)।

তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তাহলো – ‘জরুরি প্রয়োজনে’ করোনাভাইরাস উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তি এবং করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ব্যক্তির শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে।

সোমবার ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রধান ডা. ভি জি সোমানি বলেন, ‘১ জুন থেকে জরুরি ব্যবহারের শর্তে রোগীদের ৫ ডোজ করে রেমডেসিভির দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৃহৎ বায়োফার্মা কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্স তৈরি করেছে। করোনা রোগীদের শরীরে ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর গিলিয়াড সায়েন্স দাবি করে, করোনা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে এটি।

মুম্বাইয়ের সংস্থা ক্লিনেরা সার্ভিসেস তাদের থেকেই ওষুধটি আমদানি করবে। ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল ওরগানাইজেশন (সিডিএসসিও) জানিয়েছে, ইনজেকশন নির্ভর এই ওষুধ সর্বাধিক ১০ দিন প্রয়োগযোগ্য।

তবে ৫ দিনের বদলে ১০ দিন প্রয়োগে করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তখন থেকেই এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওষুধটি নিয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষা চাল্লাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ।

এর আগে ওষুধটি ইবোলায় আক্রান্ত রোগীর শরীতে প্রয়োগ করা হয়। তা এতে উল্লেখ করার মতো সফলতা আসেনি।

তবে সম্প্রতি ওষুধটি বিভিন্ন পশুর শরীরে পরীক্ষা করা হয়ে। এতে দেখা গেছে, ওষুধটি সার্স ও মার্সসহ কভিড-১৯ , সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় বেশ কার্যকর।

এদিকে জানা গেছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া করোনা রোগী চিকিৎসায় রেমডেভিসির ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর