করোনায় তানোর ও নাচোল সিমান্তে বেড়া, গ্রামবাসীর মধ্যে হাতাহাতি

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নাচোল উপজেলার সিমান্ত এলাকায় তানোরের হাঁপানিয়া গ্রাম। সম্প্রতি ওই গ্রামে করোনা রোগী সনাক্ত হয়। ফলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রামের নাচোল সিমানার মানুষ বেড়া দিয়ে ঘিরে রাস্তা বন্ধ করে লগডাউন করে দেয়।

তবে অপর প্রান্তের লোকজনের অভিযোগ লকডা্নউনের নামে শার্টডাউন করেছেন। এঅবস্থায় পুরো গ্রামের ৩০ ভাগ তানোর উপজেলার মানুষ ভীতস্থ হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি হাঁপানিয়া গ্রামের এক যুবক (২০) বাড়িতে আসে। পরে নমুনা সংগ্রহে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ওই যুবকের বাড়ি ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে। এনিয়ে শুক্রবার বিকেলে হাপানিয়া গ্রামের সিমান্তে নাচোল সিমানার স্থায়ীয় লোকজন মূল রাস্তায় গাছের গোডা ও কাটা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। এতে একই ওই গ্রামের তানোর সিমানার মানুষ ঘর বন্দি হয়ে পড়ে। এঘটনায় রাস্তা খুলে দিতে বলায় গ্রামবাসীর দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এনিয়ে ওই গ্রামের ইব্রাহিম ও ইসমাইল বলেন, নাচোল এলাকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমের হুকুমে তার লোকজন মূল রাস্তায় গাছের গোড়া ও কাটা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। তারা রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করায় তাদেরকে মারধর করে মেম্বার ও তার লোকজন।

তারা আরও জানান, বর্তমানে রাস্তা বন্ধ করায় জমির ফসলে কাজ করতে যেতে পারছে না কৃষক। এছাড়া সব ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জুরুরি ওষুধ কিংবা খাদ্যপণ্য সরবরাহে ভাটা পড়েছে। ফলে গ্রামবাসীরা খাবার ও চিকিৎসাসহ নানা সংকটে রয়েছে। এঅবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে, এনিয়ে মেম্বার আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের গ্রামের তানোর সিমানার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। একারণে পথ বন্ধ করা হয়েছে। পথ বন্ধ করা নিয়ে দুয়েকজন লাফা লাফি করছিল। একারণে তাদের চড়-থাপ্পড় দেয় হয়।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেছেন, তানোরে নয় নাচোল সিমানায় বেড়া দেয়া হয়েছে। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বেড়া তুলে নেবে।

স/অ