করোনায় খাবার কেনা কমিয়েছেন শহরের ৬৯ ভাগ মানুষ: বিশ্বব্যাংক

করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির সব খাত। এই ধাক্কা সামাল দিতে প্রত্যেকেই যে যার মত করে টিকে থাকার উপায় অবলম্বন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ মানুষ খাবার কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা করোনার আগে খাবার কেনার পেছনের যে পরিমাণ ব্যয় করতেন এখন তার চেয়ে কম ব্যয় করেন। গ্রামাঞ্চলে এই হার ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ খাবারের পেছনে এখনও বেশি ব্যয় করছেন।

সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত ‘লুজিং লাইভলিহুডস: দ্য লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্টস অব কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে করোনার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানার জন্য গত ১০ জুন থেকে ১০ জুলাই ফোনকলের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন তৈরিতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার জরিপের সবশেষ ফলাফলও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার ধাক্কা সামাল দিতে শহরের ৬৯ ভাগ মানুষ তাদের বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছেন। অথচ গ্রামের ৫০ শতাংশ মানুষ এই সহযোগিতা নিয়ে করোনার ধকল সামাল দিচ্ছেন। শহরের ৩৮ ভাগ মানুষ সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছেন আর গ্রামের ৩৩ শতাংশ মানুষে পেয়েছেন এই সহযোগিতা।

তবে, শহরের চেয়ে গ্রামের বেশি সংখ্যক মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙেছেন এই করোনাকালে। দেখা যাচ্ছে, গ্রামের ৫৫ শতাংশ মানুষই তাদের সঞ্চয় ভেঙে দৈনন্দিন খরচ মেটাচ্ছেন; সেখানে শহরের ৪২ শতাংশ মানুষ তাদের সঞ্চয়ে হাত দিয়েছেন।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাওয়া গ্রামের ২০ শতাংশ মানুষ বাড়তি আয়ের জন্য বাড়তি কাজের সন্ধান করছেন সেখানে শহরের মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ বাড়তি কাজ খুঁজছেন। তবে, গ্রামের চেয়ে শহরে বসবাসকারী বেশি সংখ্যক মানুষ ঋণ নিয়েছেন। গ্রামের ২২ শতাংশ মানুষ ঋণ নিয়েছেন আর দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে শহরের ৩০ শতাংশ মানুষ ঋণ করেছেন।

 

সূত্রঃ সময়