করোনার মহামারী পার্ল হারবার হামলার চেয়েও ভয়াবহ: ট্রাম্প

কোভিড-১৯ ছড়ানোর জন্য আবারও চীনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মহামারীকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে জাপানের বোমা বর্ষণ কিংবা দুই দশক আগের ৯/১১ হামলার চেয়েও এই মহামারি যুক্তরাষ্ট্রকে বেশি আঘাত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মহামারী মোকাবেলায় কার‌্যকর ভূমিকা নিতে না পারায় চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করার কথা জানান ট্রাম্প।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ১২ লাখের বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ প্রাথমিক অবস্থায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকলেও চীন তা বাস্তবায়ন করেনি। তবে বেইজিং বলছে, মহামারি মোকাবিলায় নিজেদের ব্যর্থতা থেকে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এটাই আমাদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এটা পার্ল হারবারের চেয়েও ভয়াবহ, এটা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেয়েও ভয়াবহ। এই রকম হামলা আগে কখনো হয়নি।’

উল্লেখ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এর জেরেই জাপানের দুটি শহরে পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, এটা কখনোই হওয়া উচিত ছিলো না। উৎসেই এটা থামানো যেত। চীনেই থামানো যেতো। উৎসেই এটা থামানো সঠিক ছিলো। কিন্তু তা হয়নি।’

ট্রাম্প বলেন, চীনের চেয়ে মহামারিকেই আমেরিকার শত্রু হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি অদৃশ্য শত্রুকে (করোনাভাইরাস) যুদ্ধ হিসেবে দেখছি। যেভাবে এটা এখানে এসেছে তা আমার পছন্দ নয় কারণ এটা থামানো যেতো কিন্তু তা হয়নি, আমি এই অদৃশ্য শত্রুকে একটি যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’

সুত্রঃ যুগান্তর