করোনার মধ্যেও বাসে ধুমধামে চাঁদাবাজি

সাভার ও আশপাশের এলাকার সড়কে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। লাইনম্যান থেকে শুরু করে ফেডারেশন ও মালিক সমিতির নামে প্রতিটি বাস থেকে ১১শ’ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পরিবহন শ্রমিকদের। সময় সংবাদের ক্যামেরায়ও ধরা পড়ে প্রকাশ্যে অর্থ আদায়ের চিত্র। জড়িতরা নানা অজুহাত দিলেও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল তিনমোড়ে সময় সংবাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাঁদাবাজির দৃশ্য। অথচ মাত্র ৫০ গজের মধ্যেই পুলিশ বক্স। দিনভর এ অবস্থা চললেও দেখা যায়নি পুলিশের কোনো তৎপরতা। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশের তোড়জোড় থাকলেও চাঁদাবাজদের থামানো যাচ্ছে না অদৃশ্য কারণে।

শুধু বাইপাইল নয়, একই অবস্থা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, নবীনগর, নয়ারহাট এলাকাতেও। দূরপাল্লা কিংবা অভ্যন্তরীণ- কোনো রুটের বাসই বাদ পড়ছে না। প্রকাশ্যে প্রতিটি বাস থেকে নেয়া হচ্ছে চাঁদা।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, দুই মাসের বেশি সময় পর চালু হয়েছে বাস। কিন্তু থামছে না চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম। ফেডারেশন, রোড লাইম্যানসহ নানা নামে টাকা নেয়া হচ্ছে। না দিলে সমস্যায় পড়তে হবে জেনেই বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখে অনেকেই চাঁদা না নিয়ে নেমে পড়েন বাস থেকে। কেউ কেউ ঘটনা স্বীকার করলেও তুলে ধরেন নানা অজুহাত।

প্রকাশ্যে এমন চাঁদাবাজি চললেও কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, অভিযোগ পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাভার হাইওয়ে জোন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিরো টলারেন্সে আছেন। আপনাদের কাছে এরকম তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য মতে, সাভারে দুটি মহাসড়কে প্রতিদিন সহস্রাধিক বাস-ট্রাক চলাচল করে।

 

সুত্রঃ সময়