করোনার মধ্যেও জুয়ার আসর, দুই কাউন্সিলরসহ আটক ৯

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও জমজমাট জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আর কঠোর নজরদারির বেষ্টনী তৈরি করে এ আসরটি চলছিল পৌর সদরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে।

অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে কেন্দুয়া পৌরসভার দুই কাউন্সিলর এবং এক ইউপি সদস্যসহ ৯ জনকে আটক করেছে। এ সময় অবৈধ লেনদেনের দেড় লক্ষাধিক টাকা ও জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও কঠোর নজরদারির বেষ্টনী তৈরি করে পৌরসভার সাউদপাড়া এলাকার অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী এনামুল হকের দুই তলা টিনের ঘরে জুয়ার আসর বসত। আর মোটা অঙ্কের অর্থের অবৈধ লেনদেনের ওই আসরে কেন্দুয়া ছাড়াও দূর-দূরান্তের জুয়াড়িদের সমাগম ঘটত। এ অবস্থায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা-পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ওই আসরে অভিযান চালায়।

এ সময় জুয়া খেলারত অবস্থায় হাতেনাতে পৌরসভার কাউন্সিলর আনিছুর রহমান রতন, আবদুল কাইয়ূম ভূঁইয়া, কান্দিউড়া ইউনিয়নের মেম্বার আবু হারেছ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল হাসান সুমন, যুবলীগ নেতা মস্তোফা, সাউদপাড়া মহল্লার ব্যবসায়ী হায়দার আলী, রতন মিয়া, আরামবাগের জুয়েল মিয়া ও পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়।

তবে অভিযানের খবর পেয়ে আরো কয়েকজন জুয়াড়ি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জুয়াড়িদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এলাকাকে মাদক ও জুয়ামুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ