করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আইনজীবীদের সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের করোনা দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। আপনারা আইনজীবী যারা আছেন সবাই মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। যাতে আমরা কেউ আক্রান্ত না হই। তিনি বলেন, একজন আক্রান্ত হওয়া মানে একটি পরিবার আক্রান্ত হওয়া। সুতরাং আমি সবাইকে আহবান জানাবো-বি ভেরি কশাস (খুব সাবধান হতে হবে)। এ করোনার জন্য সবাই খুবই সতর্ক থাকবেন। যাতে আমাদের কারণে অন্যদের মধ্যে করোনা না ছড়ায়।’

নতুন বই দোকান এবং ওকালতনামা সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে বলে সরকার বলেছে। যেমন আমরা প্রথম ওয়েভটা খুব সাফল্যজনকভাবে মোকাবেলা করেছি। আমরা আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেকেন্ড যে ওয়েভ যেটা আসতে পারে বলেছে, এটাও আমরা খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করবো।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের অডিটোরিয়ামে বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও সুমহান ঐক্য ও ঐতিহ্য আমাদেরকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলার প্রকৃতি বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়েছে। কালের আবর্তনে প্রতি বছর শরৎকালে শারদীয় দুর্গাপূজা এদেশে উৎযাপিত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসব কেবল ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি এখন শুধু নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে আনন্দ উৎসবে শামিল হওয়ার মাধ্যমে এটি সার্বজনীনতা লাভ করেছে।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্য এক অন্যান্য সামাজিক উৎসব। হিন্দু ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা। সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও সুমহান ঐক্য ও ঐতিহ্য আমাদেরকে ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের দৃঢ়ভাবে অঙ্গিকার করতে হবে, সকল সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, উগ্রতা পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সমাজ ও দেশকে গড়ে তুলতে পারি এবং দেশকে বিশ্বসভায় গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে পারি। সূত্র: কালের কণ্ঠ