‘করোনার কারণে ৩৬ দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের ৩৬টি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি।

মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, প্রাণঘাতি এ মহামারীর কারণে ইতিমধ্যেই ১০টি দেশের ১০ লাখ মানুষ এখনই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। খবর বিবিসির।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বে বেড়েই চলেছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। এ মুহূর্তে তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করছেন অন্তত ২৬ দশমিক ৫ কোটি মানুষ।

দেশে দেশে লকডাউনের কারণে এ সংখ্যা শিগগিরই দ্বিগুণ হতে পারে। এমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে ঝুঁকি মোকাবেলায় শিগগিরই ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য দাতা গোষ্ঠীগুলোর কাছে জরুরি আবেদন জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার সংকট ঠেকাতে এ মুহূর্তে ৩৫ দশমিক ৫ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। রোববার দ্য গার্ডিয়ানে লেখা এক খোলা চিঠিতে দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে স্বাক্ষর করেছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির প্রধান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যান অ্যাফেয়ার প্রভৃতির কর্মকর্তারা।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল সেশনে বেসলি বলেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব হিসেবে বিশ্বের তিন ডজন দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে। ইতিমধ্যে ১০টি দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন লোক অনাহারে দিন কাটানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। অনেক দেশে এই মানবিক সমস্যাটার কারণে নানাধরনের সহিংসতা, দ্বন্দ্ব ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে।

করোনাভাইরাস বিশ্বের সব মহাদেশের সব দেশে এমনকি আমাজনের প্রত্যন্ত ও গহীন অরণ্যেও আঘাত হেনেছে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে দেশ, শহর, বন্দর ও নগর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কোথাও কোথাও ৩ মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি মানুষ। চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের খাদ্য ব্যবস্থা। বিমান, রেলসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সরবরাহও থমকে গেছে। এ অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে কোটি কোটি মানুষের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আরিফ হুসেইন বলেন, কোভিড-১৯ সম্ভবত কোটি কোটি মানুষের জন্য একটা বিপর্যয় ডেকে এনেছে।’

সারা বিশ্বে মহামারী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।আর এ ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮৫৬৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ।

 

সূত্রঃ যুগান্তর