করোনাযুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীরা জীবন দিয়েছে, বিএনপি দিয়েছে শুধু বক্তৃতা

করোনা যুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন আর বিএনপিসহ অন্য দলগুলো শুধু বক্তৃতা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী। মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার চৌধুরী ফাতেমা বেগম অডিটোরিয়ামে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভা থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সর্বসম্মতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. লতিফ মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।

এ সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মুনির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, শিবচর পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ বলেন, এই করোনায় অনেক চিকিৎসক, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি ও দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। অনেকে মারাও গেছেন। কিন্তু মৃত্যুর হিসেবে কোনো অংশেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সংখ্যা কম না। ইতমধ্যেই আমরা অনেক সংসদ সদস্য, অনেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগসহ দেশের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। এই করোনা যুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী ত্যাগ স্বীকার করে জীবন দিয়েছেন। আর বিএনপিসহ অন্য দলের কেউ মাঠে আসেনি। তারা শুধু বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ ছিল। কোথাও তাদের দেখা যায়নি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ শুধুমাত্র করোনা মোকাবেলা করেছে। আর আমরা একই সাথে করোনা, ঝড়, বন্যা, নদী ভাঙন মোকাবেলা করেছি।

করোনায় শিবচর প্রসঙ্গে চীফ হুইপ লিটন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কঠোরভাবে মানায় শিবচর দেশে প্রথম লকডাউন হলেও একটা অবস্থানে থাকা গেছে। সারাজেলায় শিবচরেই এখন সংক্রমন কম।

চীফ হুইপ নদী ভাঙন প্রসঙ্গে বলেন, চলতি বছর আমাদের যে স্কুলগুলো ভেঙ্গেছে আগামী এক মাসের মধ্যে সে স্কুলগুলো চালু করার ব্যবস্থা করবো। আমি এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নলেজে এনেছি। প্রধানমন্ত্রীও সম্মত হয়েছে। এখন থকে চরগুলোতে নতুন আঙ্গিকে স্থাপনা নির্মাণ করা হবে যাতে সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ