করোনায় দেশের প্রথম কারাবন্দির মৃত্যু, ১২০ হাজতি কোয়ারেন্টাইনে

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর কারাগারের ৮৩ জন বন্দিসহ ১২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মে) সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার রাতে ওই হাজতির রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তার সংস্পর্শে আসা কারাগারের প্রায় ১২০ জন হাজতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।

জানা গেছে, গত রোববার সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি হত্যা মামলায় দুই মাসের অধিক সময় ধরে বন্দি ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোমবার (১১ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এদিকে, মারা যাওয়া বন্দির করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার রাতে ওই বন্দি কারাগারের যে ওয়ার্ডে ছিলেন সেই ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। গত ৫ মার্চ একটি খুনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ মে (শুক্রবার) তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠায়। ৯ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সোমবার (১১ মে) নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন ৩০১ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৮৮ জন, সুনামগঞ্জে ৬৩ জন, হবিগঞ্জ ১০২ জন ও মৌলভীবাজারে ৪৮ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ছয়জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন।

সিলেট বিভাগে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মোট এক হাজার ৫২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৭৭ জন। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৭ জন।